প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় জামিন পেয়েছেন বাকিবুর রহমান সহ আরও দুই জন। তবে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখনও বন্দি জেলে। বারংবার জামিনের জন্য আবেদন করলেও হাইকোর্ট বারেবারে তা খারিজ করে দেয়। আর এই আবহেই নতুন করে মোড় নিল রাজ্যের রেশন দুর্নীতি মামলা। সকাল সকাল ফের রাজ্যের একাধিক জায়গায় ED তল্লাশি অভিযান শুরু করল।
সকাল সকাল ED-র তল্লাশি অভিযান
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ED- র একাধিক দল রেশন দুর্নীতি মামলায় তল্লাশি অভিযানে নেমেছে। তাঁদের মধ্যে একটি দল পৌঁছে যায় কলকাতার বাঙুরের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে। সেখানে মহেন্দ্র আগরওয়াল নামে ওই ব্যবয়ায়ীর সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে বাঙুর এলাকাতেই ওই ব্যবসায়ীর নাকি দু’টি বাড়ি আছে। তাই আজ ওই দু’জায়গাতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিভিন্ন নথি। সঙ্গে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব।
১৪ জায়গায় হানা ED-র
তবে শুধু বাঙ্গুর নয়, ED হানা দিয়েছে হাওড়ার পাঁচলার এক রেশন ডিলারের বাড়িতেও। লোকনাথ সাহা নামে ওই ডিলারের বাড়ি যান ইডি আধিকারিকেরা। তার পর তাঁকে নিয়ে ওই ব্যক্তির গোডাউনে হানা দেয়। এলাকার বেশ কয়েকটি রেশন দোকানে খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ হয় তাঁর গোডাউন থেকেই। সেই সংক্রান্ত বিষয়েই তদন্ত করতে এই তল্লাশি অভিযান বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, মোট ১৪ জায়গায় একযোগে হানা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তবে এখনও পর্যন্ত এই তল্লাশি অভিযান নিয়ে কোনো রকম তথ্য তুলে ধরেনি ED।
আরও পড়ুনঃ বদলি নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার! চরম উৎকণ্ঠায় রাজ্যের শিক্ষক, শিক্ষিকারা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পুজোর আগে গত সেপ্টেম্বরে রাজ্যের সাত জায়গায় রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত তল্লাশি চালিয়েছিল ED। একাধিক চালকলে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। এবং ওই মাসের ২৮ তারিখ রেশন দুর্নীতি মামলায় অতিরিক্ত চার্জশিট জমা করেছিল ED। যেখানে দাবি করা হয় যে, রেশন মামলায় এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পাশাপাশি এও দাবি করা হয় যে রহমান ভাইদের সঙ্গে ব্যবসায়িক কারণে সম্পর্কযুক্ত চারটি সংস্থার কথাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রেশন দুর্নীতি মামলা এত বড় যে আগামী কয়েক বছর ধরে রেড চলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। প্রত্যেক জেলায় এর সুবিধাভোগী রয়েছে। তৃণমূলের নেতা এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রত্যেকের বাড়িতে তল্লাশি হওয়া উচিত।”