শ্বেতা মিত্রঃ সামনেই রয়েছে দুর্গাপুজো সহ একের পর এক উৎসব। আর এই উৎসবের সময় বহু মানুষ এমন রয়েছেন যারা কোথাও ঘুরতে যেতে ভালোবাসেন নয়তো কেউ বাড়ি ফেরেন। এই সময় সব থেকে ভিড় লক্ষ্য করা যায় ট্রেনগুলিতে। উৎসবের মরসুমে ট্রেনের সিট পাওয়া রীতিমতো ভগবানে দেখা পাবার সমান হয়ে দাঁড়ায়। এদিকে বলা হয় বাঙালির পায়ের তলায় সরষে ফুল। হাতে কয়েকদিনে ছুটি থাকলেই ট্রেনের টিকিট কেটে হয় কেউ পাহাড়ে যান নয় তো সমুদ্রে ঘুরতে যান। তবে যে হারে গরম পরছে এখন সকলেরই কমবেশি ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে পাহাড়। তবে ট্রেনের টিকিট এখন অমিল।
মাথা কুঁড়েও রেল যাত্রীরা উত্তরবঙ্গ যাওয়ার মতন ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না। ওয়েটিং লিস্ট দেখে রীতিমতো সকলের চোখ কপালে উঠেছে। আপনিও কি দুর্গাপুজোর মরসুমে উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? অথচ ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না? তাহলে আপনার জন্য রইল একদম সোনায় সোহাগা খবর। এবার বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।
বিশেষ ট্রেন চালাবে ট্রেন
অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে এবার হাওড়া এনজিপি রোডে বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। শুনতে অবাক লাগলো এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। দূর্গাপুজোর মরসুমে ট্রেন গলিতে অতিরিক্ত ভিড় সামলাতে হাওড়া এনজিপি রুটে সাপ্তাহিক পুজো স্পেশাল ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। আগামী ৯ অক্টোবর থেকে ৬ নভেম্বর ২০২৪ অবধি টানা এই ট্রেন চালাবে রেল।
যেমন আগামী ৮ অক্টবর থেকে প্রতি বুধবার ট্রেন নম্বর ০৩০২৭ হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি অবধি একটি ট্রেন চালাবে রেল। এই বিশেষ ট্রেনটি রাত ২৩:৫৫ মিনিটে হাওড়া থেকে ছাড়বে এবং এনজেপি ঢুকবে পরের দিন সকাল ১০:৪৫ নাগাদ।
পুজোর সময়ে আরও সহজ উত্তরবঙ্গ যাওয়া
উত্তর পূর্ব রেলওয়ে জানিয়েছে, ফিরতি পথে ট্রেন নম্বর ০২০২৮ প্রতি বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১০ অক্টবর থেকে ৭ নভেম্বর অবধি এনজেপি থেকে হাওড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। এই বিশেষ ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে দুপুর ১২:৪৫ নাগাদ রওনা দেবে। এরপর সেটি হাওড়া ঢুকবে রাত ০০:১০ মিনিট নাগাদ বলে জানিয়েছে রেল।
শুধু হাওড়া এনজেপি রুটেই নয়, শালিমার থেকে আসামের রাঙাপাড়া নর্থ স্টেশন। অবধি একটি বিশেষ ট্রেন চালাবে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে। এই প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব রেলের কপিঞ্জলকিশোর শর্মা জানান, শালিমার টু রাঙাপাড়া নর্থ স্টেশন অবধি আগামী ৪ অক্টবর থেকে ১৮ অক্টবর অবধি প্রতি শুক্রবার এবং শনিবার ট্রেন চালাবে উত্তর-পূর্ব রেলওয়ে।