শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বর্ষা বিদায় নিয়েও যেন বিদায় নিতে চাইছে না। টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বাংলা থেকে শুরু করে একের পর এক রাজ্য। বাদ যায়নি পাহাড়ি রাজ্য সিকিমও। টানা বৃষ্টি ও ধসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে সিকিম রাজ্যেও। গত মঙ্গলবার থেকে লাগাতার বৃষ্টির বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের একাংশ। শুক্রবার ও মিরিক দার্জিলিং নানা জায়গায় ধস নেমেছে। সিকিমেও নেমেছে ধস। যদিও অনেকেই আছেন যারা এই বর্ষার মরসুমে পাহাড়ে ঘুরতে যাচ্ছেন বা ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। আপনিও কি বসার সময় সেখানে ঘুরতে যাওয়া প্ল্যান করছেন তাহলে আপনার জন্য রইল এক জরুরী খবর। বিপদ এড়াতে এবার প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের গাড়ির প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল। ফলে এই বর্ষার সময়ে পাহাড়ে যাওয়ার আগে দশবার ভেবে নিন।
পাহাড় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি
আসলে জোরবাংলো সুখিয়া পোখরি ডেভেলপমেন্ট ব্লকের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মানেভঞ্জনের উদ্দেশ্যে এখন কোনো পর্যটক ও অন্যান্য যানবাহনের অনুমতি দেওয়া হবে না। সিঙ্গালীলা ড্রাইভারস এসোসিয়েশনকে লেখা চিঠিতে দার্জিলিং প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে আপাতত মানেভঞ্জনের দিকে যাওয়া পর্যটক গাড়ি এবং অন্যান্য গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে শুধু তাই নয় সান্দাকফুতে আপাতত ট্রেকিংও বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির স্বাভাবিক হলে ফের একবার নতুন করে গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হবে, সেই সঙ্গে ট্রেকিং-এর অনুমতিও দেওয়া হবে।
ভারী বৃষ্টি পাহাড়ে
লাগাতার ভারী বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা। শুক্রবারও মিরিক দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিকের নানা এলাকায় ধস নেমেছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিক দারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারে পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার কারণে যান চলাচল সম্পন্ন নিষিদ্ধ করে দিয়েছে কালিম্পঙ জেলা প্রশাসন। এদিকে সিকিমেও লাল সতর্কতা জারি করেছে সিকিম রাজ্য প্রশাসন।
গত অক্টোবর থেকে রীতিমতো বিপর্যয় থামার নামই নিচ্ছে না সিকিমে। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপদের মুখে পড়ে সিকিম। নতুন করে সিকিমের প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তার প্রভাব কালিম্পঙ-এ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে।