কলকাতাঃ আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় সমগ্র দেশ অশান্ত হয়ে রয়েছে। জায়গায় জায়গায় চলছে অবস্থান বিক্ষোভ। বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বহু চিকিৎসক। ফলে বন্ধ হয়ে রয়েছে ওপিডি থেকে শুরু করে একের পর এক এমার্জেন্সি বিভাগ। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন বহু রোগী ও রোগীর পরিবার। তবে এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়ার সমান হয়ে দাঁড়ালো ওষুধের অমিল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এবার কিনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ওষুধের দোকান। ফলে বেজায় সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বহু ওষুধের দোকান?
অভিযোগ, জেলায় জেলায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। যে কারণে রোগীদের বাধ্য হয়ে চড়া দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে বাইরের দোকান থেকে। বাঁকুড়া থেকে শুরু করে বীরভূম, দিনহাটার হাসপাতালগুলিতে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান বন্ধ। ফলে ওষুধ না পেয়ে আবার জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। আবার কিছু অংশের মানুষের মাথায় চিন্তার বাজ ভেঙে পড়েছে। মূলত ১৪ আগস্ট টেন্ডার শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই ওষুধের দোকানগুলিকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাথায় হাত সাধারণ মানুষের
এমনিতে সাধারণ মানুষের কল্যাণে রাজ্য সরকারের তরফে নানারকম প্রকল্প পরিচালনা করা হয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, পথশ্রী সহ নানা রকমের প্রকল্প চালানো হয়। ঠিক তেমনই আজ থেকে কয়েক বছর আগে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান চালু করা হয় সরকারের তরফে। ২০১২ সালে রাজ্যের অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ, মহকুমা হাসপাতাল ও বেশ কিছু সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নাহ্য মূল্যের ওষুধ দোকান চালু হয়। সাধারণ মানুষের যাতে ওষুধ কিনতে গিয়ে কোনও সমস্যা না হয় সেজন্য এই দোকানগুলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই দোকানগুলি থেকে ৫০ শতাংশের বেশি ছাড়ে ওষুধ কিনতে পারতেন সাধারণ মানুষ। তবে এবার টেন্ডার না মেলায় যত বিপত্তি বেঁধেছে।
জানলে অবাক হবেন, সম্প্রতি ১৪ অগস্ট বর্ধিত সেই মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারই মাঝেই সরকারিভাবে টেন্ডার হওয়ায় নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয় নতুন নতুন সংস্থাকে। এরপর নতুন বরাত পাওয়া সংস্থাগুলি বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ সহ অন্যান্য হাসপাতালগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পরিকাঠামো তৈরি করে উঠতে পারেনি। ফলে এখন ন্যায্য মূল্যে ওষুধ মিলছে না। স্বাভাবিকভাবেই চিন্তায় সকলে।