শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আরজি কর-কাণ্ডে একদিকে যখন বাংলা তথা সমগ্র দেশ উত্তাল তখন কলকাতা পুলিশের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে এরকম ঘটনা ঘটে যাবে খাস কলকাতায়। ঠিক যেন কোনও বাংলা বা হিন্দি সিনেমার স্ক্রিপ্ট। মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবার কিনা কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হল! শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। আর এহেন ঘটনার খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
কী ঘটেছিল?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। কড়েয়া থানার পুলিশ সূত্রে খবর, সরকারি আধিকারিক বলে নিজেদের পরিচয় দিয়ে এক গাড়ি চালকের থেকে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সামনে উঠে এসেছে। এদিকে এই ঘটনার খবর কানে আসতেই তদন্তে নেমে পড়ে কড়েয়া থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগেই নিজেদের সরকারি আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে একটি গাড়ি ভাড়া করেন গোয়েন্দা বিভাগের দুই পুলিশকর্মী। বালিগঞ্জ থেকে সেই গাড়ি ভাড়া করা হয় বলে খবর। এরপরে ভাড়া গাড়ির চালক আসতেই তাঁকে আচমকাই তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন ওই দুই পুলিশ কর্তা। একদম ফিল্মি স্টাইলে শাসানো হয়। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীরা মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে গাড়ি চালকের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ৪ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের দাবি করলেও শেষমেশ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্তরা।
গ্রেফতার দুই পুলিশ কর্মী
এদিকে চালক থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্তে নেমে পড়ে। আর তদন্তে নেমে পুলিশটা জানতে পারে তা শুনে চোখ কপালে উঠে যায় সকলের। আত্মসাৎ-এর অভিযোগ কড়েয়া থানার পুলিশ কৌশিক ঘোষ ও মহম্মদ মন্টি নামে দুই কর্মীকে শেষমেষ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। এদিকে এহেন ঘটনার খবর চাও হতেই সাধারণ মানুষ আরেক প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। আর সেই প্রশ্ন হল, রক্ষকই যখন ভক্ষক হয়ে ওঠে তখন সাধারণ মানুষ কার ওপর আর বিশ্বাস করবে?