সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের শিরোনামে বীরভূম (Birbhum)। এবার এক ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে এক যুবকের মুখে বাজি পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। জানা গিয়েছে, দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য মোতায়েন থাকা একজন ভিলেজ পুলিশ স্থানীয় এক যুবকের মুখে আতশবাজি ছুঁড়ে দেন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মাড়গ্রামে।
যুবকের মুখের মধ্যে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ ভিলেজ পুলিশের বিরুদ্ধে
জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণে মাড়গ্রামের বাসিন্দা হেমন্ত বাগদি গুরুতর আহত হয়েছেন। হেমন্ত বাগদি রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত ভিলেজ পুলিশ সজল মারজিৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, হেমন্ত বাগদির প্রতি মারজিতের ক্ষোভ ছিল এবং দুর্গাপুজোর শেষ দিন দশমীতে বিসর্জন দেখতে যাওয়ার সময় সে এই কাজটি করে বসে। ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা বিসর্জন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়।
বিস্ফোরক দাবি স্থানীয়দের
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ হেমন্ত ও তাঁর স্ত্রী ঠাকুর বিসর্জন দেখতে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে চাঁদপাড়া গ্রামেরই এক ভিলেজ পুলিশ যুবকের মুখে জোর করে জ্বলন্ত নিষিদ্ধ বাজি ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ। যুবকের মুখের মধ্যেই ফেটে যায় বাজিটি। এহেন ঘটনায় গুরুতর আহত হন বছর ২৪-এর হেমন্ত। পরিবারের দাবি, ওই বাজি ছিল বিপজ্জনক ‘ব্ল্যাক ক্যাট’, যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে বাজিটি সম্ভবত ‘কালি পটকা’।
যাইহোক, ঘটনার সময়ে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা মারজিৎকে তাৎক্ষণিকভাবে ধরে ফেলে এবং মাড়গ্রাম থানায় নিয়ে যায়। বীরভূম পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে হেমন্তের সঙ্গে এরকম আচরণ করেছেন ওই ভিলেজ পুলিশ, সেই নিয়ে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে।