প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দুর্গাপুজোর ভাসানে পুলিশকে ধরে বেধড়ক মার! স্থানীয়দের বিরুদ্ধে পুলিশকে কিল-চড়-ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুরে। শেষে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পাল্টা লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ঘটনায় আপাতত গ্রেফতার দুই। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকা জুড়ে। ঘটনার পর থেকেই থমথমে গোটা এলাকা।
ঠিক কী ঘটেছে?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনকে কেন্দ্র করে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের উজিরপুর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এদিকে পরিস্থিতি যখন অগ্নিগর্ভ তখন তা নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় পুলিশ সেখানে পৌঁছতেই বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার। যার ফলে গভীরভাবে আহত হন শুভেন্দু গুই নামে এক পুলিশকর্মী। কোনওরকমে বাকি পুলিশ কর্মীর সহায়তায় উদ্ধার করা হয় আহত পুলিশকর্মীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর বুঝে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে ট্রান্সফারের নির্দেশ দেন চিকিৎসকরা। সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
পুলিশকে মারায় গ্রেফতার ২
এদিকে এদিন জামালপুরে এইরূপ ঘটনা ঘটে যাওয়ায় থমথমে পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধরের ফলে তাঁর ঠোঁট ফুলে গিয়েছে। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশ এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে সাপোর্ট করেছে। এমনকি শীঘ্রই অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিও জানাচ্ছেন তারা। আপাতত ওই এলাকায় পুলিশের টহলদারি চলছে। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় জড়িত ছিল মোট ৩ জন, যার মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হলেও এখনও নিখোঁজ একজন, তবে তাঁর খোঁজ চলছে। শেষ আপডেট অনুযায়ী আজ অর্থাৎ শনিবার, বর্ধমানে আদালতে তোলা হবে দুই অভিযুক্তকে।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য ভুল!’ DVC-র জল ছাড়া নিয়ে মমতাকে তুলোধোনা জলশক্তি মন্ত্রীর
অন্যদিকে, টিটাগড় পৌরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে খড়দহের রাসখোলা ঘাটে প্রতিমা বিসর্জন করতে গিয়েছিল ক্লাবের লোকজন। সেখানেই মদ খেয়ে চলছিল ব্যাপক দাপাদাপি করেছিল সেখানকার সদস্যরা। সেই সময় পুলিশ ঠেকাতে গেলে পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। শুরু হয় ব্যাপক মারধর। মুহূর্তেই তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। কিছু সময়ের মধ্যে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় গোটা ভিড়টা। জানা গিয়েছে এই ঘটনায় তিন জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আজ ব্যারাকপুর আদালতে পাঠিয়েছে খড়দহ থানার পুলিশ।