লোকসভা ভোটের মুখে ফের একবার শিরোনামে উঠে এল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জনদরদী প্রকল্প ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’। ইতিমধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প নিয়ে মানুষের খুশির সীমা নেই। প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে শহর থেকে শুরু করে গ্রামের লক্ষ লক্ষ মহিলার অ্যাকাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়ে যাচ্ছে। আগে এই টাকার পরিমাণ সাধারণ শ্রেনির মহিলাদের জন্য ছিল ৫০০ টাকা এবং অগ্রসর শ্রেনির মহিলাদের জন্য ছিল ১০০০ টাকা।
তবে রাজ্য বাজেট চলাকালীন এই টাকার পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে এখন সাধারণ শ্রেনির মহিলাদের ব্যাঙ্কে ১০০০ টাকা এবং অনগ্রসর শ্রেনির মহিলাদের ব্যাঙ্কে ১২০০ টাকা ঢুকছে। এপিল মাস থেকে এই নতুন টাকা ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন যে , ‘আমরা ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম বদলে অন্নপূর্ণা ভাণ্ডার করা হবে এবং সুবিধাভোগীরা প্রত্যেকে তিন হাজার টাকা করে পাবেন।’ তবে এবার এই কথাও অতীত, এবার এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় কথা বললেন অমিত শাহ। তিনি জানালেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তো বন্ধ হবেই না, বরং টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
আমতা থেকে অমিত শাহ জানান, ‘ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে না বিজেপি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ১০০ টাকা করে বেশি দেবো আমরা।’ অর্থাৎ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৩ হাজার টাকা করে দেওয়ার শুভেন্দু অধিকারীর দাবিকে উড়িয়ে দিলেন শাহ। কিন্তু এই টাকা তখনই মিলবে যখন বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘যতদিন বেঁচে থাকবেন ততদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকবে।’
বাংলায় তৃতীয়বারের ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালের আগস্ট মাসে সরকার এই প্রকল্প আনে। প্রথম দিকে সাধারণ শ্রেনির মহিলাদের ৫০০ টাকা এবং অনগ্রসর শ্রেনির মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করে সরকার। যদিও ২০২৪ সালে রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় আচমকাই এই টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে দেয় সরকার।