সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ ফের শিরোনামে এসএসসি চাকরি দুর্নীতি। এবার মৃত্যু হল এক চাকরিহারা শিক্ষিকার (Mecheda Teacher Died)। মৃতার নাম অর্পিতা দাস মাইতি (৩৫)। কলকাতার একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। অর্পিতা দাস মাইতি মেচাদার কাকডিহির বাসিন্দা ছিলেন। তমলুকের ডহরপুর তফশিলি হাই স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষিকা ছিলেন অর্পিতা দাস মাইতি।
মৃত্যু SSC-র চাকরিহারা শিক্ষিকার
গত বছর সুপ্রিম কোর্ট অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে। পুরো প্যানেলটি বাতিল করা হয় সেইসময়ে। আদালতের এই সিদ্ধান্ত প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের চাকরি চলে যায়। বাদ যাননি অর্পিতা দাস মাইতিও। তাঁর প্রতিবেশীরা জানান, নতুন করে এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছিলেন অর্পিতা। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড বাতিল হয়ে যাওয়ায় অবসাদে ভুগছিলেন। এমনকি নিউরোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারে ভুগছিলেন। বেশ কিছুদিন যাবত কলকাতার হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হল না, মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
স্বাভাবিকভাবেই অর্পিতা দাসের এহেন আকস্মিক মৃত্যতে পরিবারে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই প্রসঙ্গে তমলুক পুরসভার কাউন্সিলার ও স্কুলের পরিচালন কমিটির প্রাক্তন সদস্য চঞ্চল খাঁড়া বলেন, ‘এলাকায় শিক্ষিকা হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। এই খবর শুনে খারাপ লাগল।’ এদিকে অর্পিতার শ্বশুর নিত্যানন্দ মাইতি জানান, চাকরি যাওয়ার পর থেকেই তাঁর বৌমা অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। নিউরোলজিক্যাল সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা।
প্রকাশ পেয়েছে চাকরি দুর্নীতির দাগীদের তালিকা
আগস্ট মাসে বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে প্রকাশ পায় এসএসসির অযোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের তালিকা। আর এই তালিকায় নাম থাকে ১৮০৪ জনের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অবশেষে সেই তালিকা প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর এই তালিকায় যাদের নাম ছিল বহু হাই প্রোফাইল মানুষদের। যাইহোক, শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল যে দাগী তালিকায় নাম থাকা শিক্ষকরা কোনওভাবেই আর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সেই তালিকাতেই ছিল অর্পিতা দাস মাইতির নাম।