ঝাড়গ্রাম: এবার কেরালার স্মৃতি ফিরল বাংলায়। মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক হাতির। ঝাড়গ্রাম জেলায় এমনিতে প্রায়শই হাতির হামলা, হাতির হানায় আহত, মৃতের খবর মেলে। এক কথায় ঝাড়গ্রাম যেন হাতিদের অন্যতম হাব। কিন্তু এবার এই ঝাড়গ্রামেই এক হাতির সঙ্গে এমন এক নৃশংস ঘটনা ঘটে গেল যা শোনার পর চমকে গিয়েছেন সকলে। পিঠে জ্বলন্ত রড দিয়ে হামলার কারণে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল এক দাঁতাল। আর এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে ঝাড়গ্রাম জেলা।
হাতি মৃত্যু ঘিরে অশান্ত ঝাড়গ্রাম
প্রথমে ঘটনার বিষয়টি তুলে ধরেন সংরক্ষণবাদী প্রেরণা সিং বিন্দ্রা। তিনি শনিবার সকালে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। আর এই পোস্ট দেখে চমকে যান সকলে। তিনি জানান, গত ১২ আগস্ট যেখানে সমগ্র ভারত আন্তর্জাতিক হাতি দিবস উদযাপন করছে তখন বাংলার ঝাড়গ্রাম থেকে এক হাতির সঙ্গে ভয়ানক ঘটনা ঘটে যায়। বন বিভাগের তরফে জানতে পারি, ঝাড়গ্রাম হুলা পার্টির হামলার কারণে এক হাতির মৃত্যু হয়। তাঁকে নির্যাতন ও হত্যা করা হয়। এই ঘটনা হৃদয় বিদারক, সকলকে এই বিষয়ে সরব হতে হবে।’
On August 12, #India celeberated #WorldElephantDay2024 & heard a lot from @moefcc on all the great things v have done for #elephants.
I would like to hear from @moefcc and @ForestDeptWB
now on the horrific harassment, torture and killing of an #elephant in #Jhargam #WestBengal… pic.twitter.com/KTTzAdStrG— prerna singh bindra ???????????? (@prernabindra) August 17, 2024
কী ঘটেছিল?
গ্রামবাসীরা স্পাইক লাগানো রড, আগুনের গোলা দিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ অবধি জ্বলন্ত রডের আঘাতে একটি স্ত্রী হাতির মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং শেষ অবধি সে মারা যায়। এমনিতে বন্য প্রাণীদের তাড়াতে স্পাইক রড এবং আগুনের গোলা ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারপরেও হুলা পার্টির সদস্যদের কারণে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ঝাড়গ্রাম জেলায় একটি হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে রাজ কলেজ কলোনিতে কয়েকটি দেওয়াল ভেঙে ঢুকে পড়ে দু’টি শাবক-সহ ছ’টি হাতি। এর কয়েক ঘণ্টা পর পালের আরেকদল কলোনির এক বৃদ্ধ বাসিন্দার উপর হামলা করে। পরে ওই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এদিকে হাতিরা যখন তাণ্ডব চালাচ্ছিল, তখন লোহার রড ও জ্বলন্ত মশাল নিয়ে একটি ‘হুলা’ দল তাদের তাড়াতে উদ্যত হয়।
১৫ অগাস্ট হাতির পিঠে জ্বলন্ত রড ঢুকিয়ে দিয়ে গুরতর আহত করে হুলা সদস্যরা। পরেরদিন সন্ধ্যের পর হাতিটির চিকিৎসা শুরু হয়। গোপন জায়গায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় হাতিটিকে। কিন্তু তাঁকে বাঁচানো যায় না। এরপর থেকেই ঘটনায় ফুঁসতে শুরু করেছেন সকলে। মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।