প্রীতি পোদ্দার: চলতি বছর রাজ্য সরকার পুজো অনুদানের ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি ক্লাবকে ৮৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে, দুর্গাপুজোর জন্য রাজ্য সরকারের দেওয়া সেই ৮৫ হাজার টাকার অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে কলকাতা ও জেলার বেশ কয়েকটি পুজো সংগঠন। প্রত্যাখ্যানের তালিকাও বেশ দীর্ঘ। কলকাতার বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল সহ জেলার বিভিন্ন পুজো প্যান্ডেল রাজ্য সরকারের অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। তবে এবার সেই পূজা অনুদান নিয়ে বড় তথ্য জানা গেল নবান্ন সূত্রে।
অনুদান ফেরৎ এর কোনো প্রভাব পড়ল না!
জানা গিয়েছে একের পর এক ক্লাব পুজোর অনুদান ফেরৎ দিয়ে দিলেও রাজ্য সরকারের পুজোর অনুদান কর্মসূচিতে কোন বিরাট প্রভাব পড়ল না। কারণ নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্য পুলিশ এলাকায় ৪১,৮৮৯টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদানের জন্য আবেদন করেছিল। আর সেই আবেদনের ভিত্তিতে প্রায় ৪০,৬৫৫টি পুজো কমিটি ইতিমধ্যেই চেক পেয়ে গিয়েছে। বাকিরাও আজকালের মধ্যেই চেক পেয়ে যাবে। প্রায় ২০০০ এর বেশি অনুদানের জন্য আবেদন করেছে চলতি বছর দুর্গা পুজোয়।
বিভিন্ন জেলা যেমন বনগাঁ, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া গ্রামীণ, জঙ্গিপুর, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি গ্রামীণ, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুর, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার পুলিশ জেলায় সরকারি অনুদান ফেরায়নি কোনও পুজো কমিটি। বীরভূম জেলাতেও সবকটি পুজো কমিটি সরকারের অনুদানের জন্য আবেদন করেছে।
মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে!
তাই এই অনুদানের প্রত্যাখ্যান খুব একটা বড় আকার ধারণ করেনি। তার জন্য অনেক কারণ উঠে আসছে। সেগুলি হল গত বারের থেকেও বেশি সংখ্যায় পুজো কমিটি এবার অনুদানের জন্য আবেদন করেছিল। শুধুমাত্র গত বার বা তার আগেও যারা অনুদান নিয়েছে তাদের মত মাত্র ৫৯টি পুজো কমিটি এবার সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। যা কোনও শতাংশের হিসাবে আসছে না। তবে সবচেয়ে বেশি যারা টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে তারা হল বিধাননগর পুলিশ জেলা এলাকা। গোটা রাজ্যে যে ৫৯টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে তার মধ্যে ২৫টি এই বিধাননগর পুলিশ জেলা এলাকায়।