কলকাতাঃ মঙ্গলবার আরজি কর ইস্যুতে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। আর এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের তরফে। শুধু তাই নয়, এই অভিযানে অংশগ্রহণ করবে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজ সকাল থেকেই গঙ্গার এপার এবং ওপার, দুই জায়গাগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। যেনতেন প্রকারে মিছিলকে রুখতে বদ্ধপরিকর পুলিশ। তবে এসবের মাঝেই একজনের নাম বারবার উঠে আসছে, আর তিনি হলেন কবিতা সরকার। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কে এই কবিতা সরকার? তাহলে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত শহর
ক্রেন, কন্টেনার নামিয়ে রীতিমতো দুর্ভেদ্য প্রাচীর তৈরি করেছে রাজ্য পুলিশ। এদিকে পুলিশের দখলে শহর কলকাতার একের পর এক রাস্তা। নবান্ন অভিযানের কথা মাথায় রেখে আজ বহু রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া যেগুলি খোলা রয়েছে সেগুলির ওপর যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যস্ত পুলিশ। আজ আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে আজ নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। এখন এই মিছিল কতটা সফল হয় সেদিকে চোখ রয়েছে সকলের। মিছিল রুখতে একপ্রকার বেনজির ছবি প্রকাশ্যে উঠে আসছে শহর কলকাতার। এদিকে আরজি কর নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট, শিয়ালদহ কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সঞ্জয় রায় নামের এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে। এদিকে তাঁর হয়ে মামলা লড়ছেন মহিলা আইনজীবী কবিতা সরকার।
ধর্ষকের হয়ে মামলা লড়ছেন মহিলা আইনজীবী!
সঞ্জয় রাই মহিলা চিকিৎসককে যৌন হেনস্থা ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। এদিকে এহেন নক্ক্যারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতের পাশে একজন মহিলা আইনজীবী কী করে হলেন তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। প্রথমে নাকি সঞ্জয় রায়ের হয়ে কেউ মামলাই লড়তে চাননি। পরে শিয়ালদহ কোর্ট বছর বাহান্নর কবিতা সরকারকে আরজি করের ঘটনায় অভিযুক্তের আইনজীবী হিসাবে নিযুক্ত করে। এদিকে সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হয়ে সিনিয়র আইনজীবী কবিতা জানান যে তাঁর মক্কেল এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়। আইনজীবীর পূর্ণ বিশ্বাস, ‘সত্য সামনে আসবে। অভিযুক্ত যে নির্দোষ তা প্রমাণিত হবে’।
কে এই কবিতা সরকার?
এখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এই কবিতা সরকার কে? জানা গিয়েছে, হুগলির মহসিন কলেজ থেকে আইনের ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। এরপর আলিপুর কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু। কেরিয়ারের শুরুর দিকে মূলত দেওয়ানি মামলা লড়তেন কবিতা। পরবর্তীতে ফৌজদারি মামলা লড়া শুরু করেন। সেই সময় যোগদান করেন সাউথ এসিয়ান লিগ্যাল সার্ভিসেস অ্য়াসোসিয়েশন। এরপর ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে শিয়ালদহ কোর্টে তিনি লড়তে শুরু করেন।