শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিকে ঘিরে অশান্ত বাংলা। রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে চলছে বিক্ষোভ। স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে মাসের পর মাস ধরে রোদ, ঝড়, জল উপেক্ষা করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। এদিকে বছর শেষ হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে। কবে নিয়োগ হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এসবের মাঝেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফে বড় নির্দেশিকা দেওয়া হল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মেধাতালিকা প্রকাশের জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
আসলে শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি মামলায় এই নির্দেশ দেন। মেধাতালিকা প্রকাশে ইতিমধ্যেই সুনির্দিষ্ট বিধিমালা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ৪১ জন প্রার্থীর নিয়োগ নিয়ে জটিলতা ছিল। হাইকোর্ট শীর্ষ আদালতকে দ্রুত মেধা তালিকা প্রকাশ করতে এবং সেই ৪১ জন প্রার্থীর ডি.এল.এড ডিগ্রিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় ৪১ জন প্রার্থীর নিয়োগে জটিলতা ছিল। এই প্রার্থীদের বিএড এবং ডিএল এড উভয় ডিগ্রি ছিল, যার কারণে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের দাবি, যেহেতু তাদের বিএড ডিগ্রি রয়েছে, তাই ডিএলএড ডিগ্রিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে না। বোর্ডের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৪১ জন প্রার্থী। এর আগে সিঙ্গল বেঞ্চ ডিএল এড ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এবং পরে সুপ্রিম কোর্টে যান কাউন্সিলর। এই দুই আদালতই সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল রাখে।
কপাল খুলল ৪১ জনের
শুক্রবার কাউন্সিলর গৌতম পাল হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে জানান, অন্য একটি মামলায় মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। ফলে এই ৪১ জনের তালিকা আলাদাভাবে প্রকাশ করা হলে সংশয় দেখা দিতে পারে। এরপরই বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই ৪১ জন প্রার্থীর নাম ওই মেধা তালিকায় থাকতে হবে।