নাম তাঁর দিলীপ ঘোষ। ভোট হোক বা না হোক, বরাবরই তাঁকে ঠোঁটকাটা মন্তব্য করতে শোনা যায়। তাঁকে এক ডাকেই চেনেন বাংলার মানুষ। বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁকে পোড় খাওয়া নেতাই বলা হয়। তাঁর রাজনৈতিক জীবনের রোলার কোস্টার রাইডের সাক্ষী থেকেছেন সকলে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি হওয়া, তারপর সর্বভারতীয় সহ সভাপতি হওয়া সহ আরও নানান ইস্যুতে তিনি বারবার শিরোনামে উঠে এসেছেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
চলতি বছরের লোকসভা ভোটে তিনি নতুন করে ময়দানে নেমেছেন। প্রার্থী করেছে বিজেপি। তবে এবারে দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুর নয়, দুর্গাপুর-বর্ধমান লোকসভা আসন থেকে প্রার্থী করেছে গেরুয়া শিবির। অর্থাৎ এবারের লড়াইটা আরও কিছুটা জোরদার হবে সেটা বলাই বাহুল্য। এরই মাঝে তিনি ভোটের মনোনয়ন জমা দিলেন। আর নির্বাচনী হলফনামায় নিজের সম্পত্তি সহ আরও যা যা তথ্য দিয়েছে তা দেখে সকলেরই চোখ কপালে উঠেছে।
দিলীপের শিক্ষাগত যোগ্যতা কী? তিনি কত টাকার মালিক? গাড়ি-বাড়ি কটা আছে আছে তা জানতে কি আপনিও কৌতূহলী? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, ৫৯ বছর বয়সী দিলীপ ঘোষ ১৯৮০ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেছেন। এরপর ১৯৮২ সালে ঝাড়গ্রাম থেকে ITI পাশ করেছেন। এরপর আসা যাক তাঁর আয়ের কথায়। জানা যাচ্ছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে তাঁর আয় ছিল ৭ লক্ষ ৭২ হাজার ২৩০ টাকা। এরপর বছর বছর রাজধানী এক্সপ্রেসের গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর আয়।
জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ সালে ১৩,৫০,৮৬০, ২০২২-২৩ সালে ৯ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৫০ টাকা আয় করেছেন। দিলীপ ঘোষ নিজের হলফনামায় আরও জানিয়েছেন তিনি সাংসদ হিসেবে মাসে ১ লক্ষ ৯০ টাকা আয় করেন। হলফনামা অনুযায়ী, দিলীপ ঘোষের হাতে নগদ আছে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও টাকা রেখেছেন। সেইসঙ্গে পোস্ট অফিসে মোট ৪ট স্কিমে কয়েক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন তিনি।
সব মিলিয়ে বিজেপি প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তির মোট অঙ্ক হল ৪০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৯ টাকা। তাঁর কাছে একটি জমি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। ওই জমির বর্তমান মূল্য ৪০ লক্ষ টাকা। নিউটাউনে দিলীপ ঘোষের যে ফ্ল্যাটটি রয়েছে সেটি তিনি ২০২২ সালে ৯৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। এছাড়া সব মিলিয়ে তাঁর স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার। তাঁর ব্যাঙ্কে রয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা।