শ্বেতা মিত্র, মালদাঃ রানওয়ের ওপর বিক্রি হচ্ছে ঝালমুড়ি, ঘুরে বেরাচ্ছে গরু, এমনকি চলছে টোটো! শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। বাংলার বুকে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরী হয়ে পড়ে রয়েছে আস্ত একটা বিমাবন্দর। বিমাণ চলাচলের কথাও রয়েছে। কিন্তু বিমানবন্দরটি আশেপাশের মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করার জন্য অপেক্ষা করছেন। বাংলায় ঠিক এভাবেই অবহেলায় পড়ে রয়েছে মালদা বিমানবন্দর। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
রানওয়েতে ঘুরে বেরাচ্ছে গরু, টোটো
১৭ কোটির এই রানওয়েতে নাকি নামার কথা বিমানের। পশ্চিমবঙ্গ সরকার রানওয়ে তৈরি করার পরেও এই মালদা বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা পুনরুজ্জীবিত করার জন্য মালদার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ছোট বিমান পরিষেবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল আগে। কিন্তু কথাই সার। এরই মধ্যে এই বিমানবন্দর থেকেই হেলিকপ্টার পরিষেবা শুরু হয়। তবে সেটাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে বিমানবন্দর এলাকাটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে।
বেহাল দশা মালদা বিমানবন্দরের
মাঝেমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে এই বিমানবন্দর খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এএআই) কর্মকর্তারা বেশ কয়েকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু তারপরও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিমানবন্দর চালু করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। মালদা জেলার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ বারবার বিমানবন্দর থেকে বিমান পরিষেবা চালু করার দাবি জানাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি।
১৯৬২ সালে ১৪৪ একর জমির উপর নির্মিত মালদা বিমানবন্দরে বিমান ওঠার পর কতদিন কেটে গিয়েছে তা বর্তমান প্রজন্ম জানে না। এর আগে এখান থেকে কলকাতা ও বালুরঘাট পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালালেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। যাইহোক, এখন এই বিমানবোন্দরে আশপাশের লোকজন নিয়মিত সকাল ও সন্ধ্যায় হাঁটতে আসেন। এদিকে সরকারি উদাসীনতার কারণে নগরীতে নির্মিত রানওয়েটিও ধ্বংস হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।