প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) পচা কুমড়ো-পেঁপে রান্নার অভিযোগ! আর সেই রান্না থেকে মাঝে মধ্যেই বের হয় দুর্গন্ধ! পড়ুয়াদের জন্য তৈরি করা খাবারের মান নিয়ে এবার প্রশ্নের মুখে পড়ল বীরভূমের সিউড়ি থানা এলাকার কুলেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের জন্য বরাদ্দ মিড-ডে মিল নিয়ে একাধিক অভিযোগ প্রায়ই উঠে আসে খবরের শিরোনামে। কখনও মিড ডে মিলের বরাদ্দ টাকা তছরুপ তো কখনও আবার খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন। আর এবার প্রশ্ন উঠল বীরভূমে।
মিড ডে মিল নিয়ে বড় অভিযোগ!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বীরভূমের সিউড়ি থানা এলাকার কুলেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে একের পর এক অভিযোগ উঠে এসেছে। মিড ডে মিল নিয়ে সবসময় বাকি শিক্ষকদের সঙ্গে ঝামেলা প্রায়ই লেগে থাকত। এমনকি রান্নার জন্য জিনিসপত্র চাইলে রাঁধুনিদের সাথেও তিনি খারাপ ব্যবহার করতেন। কোনও সমস্যার সুরাহা হত না ঠিকভাবে। অভিভাবকদেরও কোনো অভিযোগ মানতেন না তিনি। শেষে আজ, শনিবার প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখাল অভিভাবক ও রাঁধুনিরা। দীর্ঘক্ষণ চলে ওই বিক্ষোভ। পরে পুলিশ এসে নিয়ন্ত্রণ করে গোটা পরিস্থিতি।
রাঁধুনির অভিযোগ
বছরখানেক আগে এই বীরভূমের সিউড়ি থানা এলাকার কুলেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হয়ে এসেছিলেন বিকাশ চক্রবর্তী। অভিযোগ তার পর থেকেই স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মিড ডে মিলের পরিস্থিতি নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। এই ব্যাপারে স্কুলের মিড-ডে মিলের রাঁধুনি নমিতা মাহারার অভিযোগ, ‘প্রধান শিক্ষককে রান্না নিয়ে কিছু বলতে গেলে তিনি কিছু শুনতে চান না। কোনও দিন ভালো রান্না হয় না। মাছ, মাংস, ডিম কিছুই হয় না। আলু, ভাল, মুসুরির ডাল দেওয়া হয়, শাক হয়। পোস্তও দেওয়া হয় না। পচা আনাজ দেওয়া হয়।’ একই অভিযোগ তোলে অভিভাবকদের একাংশ।
আরও পড়ুন: জালিয়াতি থেকে মহিলা নির্যাতন! ইসকন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ ঘিরে রণক্ষেত্র হবিবপুর
প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল নিয়ে একাধিক অভিযোগ বিতর্কের মাঝেই বীরভূমের সিউড়ি থানা এলাকায় কুলেড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সম্পূর্ণ অন্য প্রতিক্রিয়া দেখান। তিনি জানান, “ যা আছে, সাধ্যমতো তাই দেওয়ার চেষ্টা করি। ৬৯ জন পড়ুয়া আছে। কোনোদিনও খারাপ খাবার দেওয়া হয় না।”