কলকাতাঃ চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার প্রায় তিন সপ্তাহ পরও পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে। আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার রুম থেকে গত ৯ আগস্ট এক মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠছে বাংলা সহ সমগ্র দেশ। এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে গত পরশু নবান্ন অভিযানে ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। কিন্তু এই নবান্ন অভিযান ঘিরে তোলপাড় হয়ে ওঠে হাওড়া, হাওড়া ময়দান এবং সাঁতরাগাছি। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস, জল কামানের ব্যবহার করে পুলিশ। এই ঘটনায় বহু মানুষ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। তবে একজন মানুষ তুমুল গতিতে ভাইরাল হয়েছিলেন, যাকে পুলিশের জলকামানের সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছিল। তিনি হলেন বলরাম (প্রবীর বোস)। কিন্তু ছাত্র সমাজের আন্দোলনে কী করছিলেন তিনি? এই নিয়ে এবার জবাব দিলেন তিনি।
কী বললেন বলরাম?
নবান্ন অভিযানের মুখ সাধু বলরামকে নিয়ে এখন সামাজিক মাধ্যম রীতিমতো তোলপাড়। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, হাওড়া ব্রিজে যখন আন্দোলন ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছিল তখন একজন মানুষ বুক চিতিয়ে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এই ব্যক্তির গায়ে ছিল গেরুয়া বসন এবং হাতে জাতীয় পতাকা। তাঁরই নাম হল প্রবীর বোস ওরফে বলরাম। যদিও তিনি আন্দোলনে কী করছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সেইসঙ্গে কেনই বা পুলিশকে চুড়ি পরতে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এবার এই ইস্যুতে মুখ খুললেন বলরাম। তিনি বলেন, “ছাত্ররা এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কিন্তু বলা হয়েছিল যে প্রতিটি পরিবার থেকে একজন ব্যক্তিকে এতে যোগ দিতে হবে। আমার বাড়িতেও মেয়েরা আছে। তাই তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। সমাজ ভালো ও সুরক্ষিত থাকলে নারীরা সম্মানিত হবে। যেখানে নারীর সম্মান নেই সেখানে দেবতা বাস করেন না।”
#WATCH | Kolkata: Balram Bose, who took part in the ‘Nabanna Abhiyan’ march yesterday, says, “The agitation was called by students but it was said that one individual from every household should join it. I too have women in my house. So, we should be concerned for their safety.… https://t.co/25ejt95Dd8 pic.twitter.com/trqbGREtGa
— ANI (@ANI) August 28, 2024
পুলিশকে হাতে চুড়ি পরার নিদান!
পুলিশকে হাতে চুড়ি পরতে নিদান কেন দেন তিনি? এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় আমি বিশ্বাস করেছিলাম যে আমাদের কণ্ঠস্বর নবান্নের কাছে পৌঁছাতে হবে। আমি হয়ত মরেও যেতে পারতাম। তবে স্বৈরাচারী ব্যবস্থায় পুলিশরা যে দাসত্ব অনুসরণ করে তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমি তাদের ইশারা করছিলাম। আমি ওদের বলছিলাম হাতকড়া ফেলে নবান্নের দিকে আমাদের মিছিলে যোগ দাও অথবা জলকামান ব্যবহার করো। আমি একজন সনাতনী, ভগবান শিবভক্ত… আমি চাই না কোনও রাজনৈতিক দল এই আন্দোলনকে প্রভাবিত করুক বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিক। আমরা ন্যায়বিচার চাই, আর কিছু চাই না।”