প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের ভাষার প্রাধান্য নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হল রাজ্য জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসেস পরীক্ষায় বা WBCS পরীক্ষায় হিন্দি ও উর্দুকে স্বীকৃত ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার কারণে এবার ফের রাজ্য সরকারের প্রতিবাদে রাজপথে নামল বাংলা পক্ষ (Bangla Pokkho)। প্রশ্নপত্র বাংলা ভাষায় না হলে এবার বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সংগঠনের।
বাংলা ভাষা নিয়ে রাজ্যের অন্দরে লড়াই!
ভারতের প্রতিটা রাজ্যে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ক্ষেত্রে রাজ্যের ভাষার পেপার বাধ্যতামূলক হয়ে থাকে। যেমন বিহারে ১০০ নম্বরের হিন্দি, গুজরাটে ১৫০ গুজরাটি, মহারাষ্ট্রে ১০০ নম্বরের মারাঠি, রাজস্থানে ১২০ নম্বরের হিন্দি, কর্ণাটকে ১৫০ নম্বরের কন্নড়, ইউপি ও মধ্যপ্রদেশে ৩০০ নম্বরের হিন্দি পেপার বাধ্যতামূলক।
কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে হিন্দি ও উর্দুতে WBCS পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। বাংলার মাটিতেই বঞ্চিত হতে হচ্ছে বাঙালি ছেলেমেয়েদের। তাই WBCS এ বাংলা বাধ্যতামূলকের দাবিতে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে লড়াই করে বাংলা পক্ষ।
রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ
এমনকি এখনও সেই লড়াই জারি রেখেছে বাংলা পক্ষ। জানা গিয়েছে,গতকাল অর্থাৎ রবিবার, WBCS বা পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় হিন্দি ও উর্দুকে স্বীকৃত ভাষা হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিবাদে বাঙালিপন্থী অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ‘বাংলা পক্ষ’-এর সদস্যরা একটি সমাবেশ তথা মিছিল করেন।
এই মিছিলটি রবীন্দ্র সদন এক্সাইড ক্রসিং থেকে শুরু হয়ে হাজরা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। আর এই মিছিলেই বাংলাকে সন্মান জানাতে WBCS পরীক্ষায় বাংলা ভাষাকে স্থান দেওয়ার দাবি তোলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ২ জুলাই কসবা অভিযানের ডাক শুভেন্দুর! অনুমতি না পেলে হাইকোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি
কী বলছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক?
এদিন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা দাবি করছি যে অন্যান্য রাজ্যের মতো এই রাজ্যেও WBCS পরীক্ষায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হোক। যদি মহারাষ্ট্রে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসার জন্য মারাঠি জানা বাধ্যতামূলক হয় এবং উত্তর প্রদেশ এবং বিহারে হিন্দি জানা বাধ্যতামূলক হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের WBCS প্রার্থীরা কেন বাংলা জানবেন না?”
এখানেই থেমে থাকেননি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি রীতিমত রাজ্য সরকার তথা প্রশাসনের বিরুদ্ধে হুংকার দিয়ে বলেন, “যদি রাজ্য সরকার WBCS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য ৩০০ নম্বরের বাংলা ভাষার প্রশ্নপত্র বাধ্যতামূলক না করেন তাহলে ২০২৬ সালের আগে আরও বড় আন্দোলনের ডাক দেবেন বাংলা পক্ষ। তখন ঠেলা সামলাতে হবে রাজ্য সরকারকে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |