প্রীতি পোদ্দার, তেহট্ট: চলতি বছর আগস্ট মাস থেকেই নানা অশান্তি উত্তেজনা হয়েই চলেছে বাংলাদেশে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর মুহাম্মদ ইউনূস এর অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি সেই দেশে। বরং দিনকে দিন যেন অরাজকতা বেড়েই চলেছে। আর তার আঁচ এসে পড়ছে ভারতে। বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশ হচ্ছে বাংলাদেশীদের। আর তাদের মাঝেই জঙ্গিদের প্রবেশ ঘটেছে। ইতিমধ্যেই একাধিক জঙ্গিকে পাকড়াও করা হয়েছে। নদিয়ার বেশ কিছু জায়গাতেই সীমান্তে কাঁটাতার নেই। অবাধে সেইসব জায়গা থেকে জঙ্গিদের আনাগোনা ও অনুপ্রবেশের আশঙ্কাও রয়েছে। তাই এবার সীমান্তে কড়া নজরদারিও চলছে। কিন্তু তার মধ্যে আরও এক অঘটন ঘটল বাংলায়।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাসে সীমান্তে বিএসএফের (Border Security Force) কড়াকড়ি বেড়েছে। এই আবহে ভারতীয় কৃষকরা কাঁটাতার লাগোয়া জমিতে নিয়মিত যেতে পারছেন না। এদিকে সেই সুযোগে রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করছে ভারতের তেহট্ট এলাকায়। এবং ভারতীয় কৃষকদের জমিতে থাকা গম থেকে সর্ষে অবাধে কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশিরা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে, সকলের অনুপস্থিতিতে জমির গম, সর্ষে সহ অন্যান্য ফসল রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বাদ যাচ্ছে না দিনের বেলাতেও।
দিনে দুপুরে ভারতের ফসল চুরি!
কিন্তু নিজের জমির ফসল কেটে নিলেও দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকছে না। এখন সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় আগের মতো সব সময় জমির ফসল দেখতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এখন জমিতে চাষ করতে গেলে পরিচয়পত্র জমা দিয়ে যেতে হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আবার ফিরে আসতে হয়। বারবার যেতে দেওয়া হয় না। ফলে অবাধে চলছে ফসল লুট। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে মাঠের বাকি ফসল তাঁরা আদৌ তুলে আনতে পারবেন কিনা। প্রবল আর্থিক সমস্যার মুখে পড়েছেন চাষিরা।
বাংলাদেশীদের এই দুর্নীতি রুখতে এক BSF আধিকারিক জানিয়েছেন, কাঁটাতারের ভিতর এবং বাইরে দুই দিকেই পর্যাপ্ত পরিমাণে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নো ম্যান্স ল্যান্ডে যে সব চাষিরা চাষ করতে যান, তাঁদের ১০০ শতাংশ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নাইট ভিসন ক্যামেরা এবং উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হবে। চাষিদের ফসলের আর কোনো দুর্নীতি হবে না। ”