বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতায় এসে জাল আধার এবং ভোটার কার্ড তৈরি করে লিভইন সঙ্গীর সাথে যৌথ উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতায় একটি সম্পত্তি কেনেন অভিনেত্রী শান্তা পাল। সূত্রের খবর, ভুয়ো পরিচয় পত্র দেখিয়ে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
তবে শেষ পর্যন্ত ধরা দিলেন পুলিশের জালে। জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের ওই অভিনেত্রীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে লাল বাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে বাংলাদেশের অভিনেত্রী শান্তা দাবি করেছেন, ওই যুবককে ডিজিটালি বিয়ে করেছেন তিনি। যদিও ডিজিটাল বিয়ের কোনও তথ্য পুলিশের হাতে নেই।
বাংলাদেশের নামজাদা মডেল শান্তা!
পুলিশ সূত্রে খবর, বাংলাদেশের এক বিমান সংস্থায় চাকরি করার পাশাপাশি মডেলিংয়েও ওপার বাংলায় বিশেষ নাম কামিয়েছিলেন শান্তা পাল। জানা যায়, বাংলাদেশের একাধিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সেখানে নিজেকে সফল করেছিলেন এই শান্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, 2016 সালে বাংলাদেশের হয়ে ইন্দো বাংলা বিউটি প্রেজেন্টে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর 2019 সালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে মিস এশিয়া গ্লোবাল হয়েছিলেন শান্তা পাল। এরপর থেকেই নাকি তাঁর অভিনয়ে জগতে পা রাখা। তবে অভিনয়ের মাঝেও বাংলাদেশের বিমান সংস্থায় দীর্ঘদিন কাজ করেছেন লালবাজারের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি অভিনেত্রী শান্তা!
???? western dress a Tip porechi guys. Kichu kichu murkho vhule jai Indo western style er kotha . Pls someone teach her ????????
Posted by Shanta Paul on Saturday, July 26, 2025
ভারতের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন শান্তা
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে নিজের অভিনয় কেরিয়ার শুরু করার পর ভারতে তামিল, তেলেগু, ওড়িয়া এমনকি টলিউডের বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছেন শান্তা পাল। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করারও চেষ্টা করেছিলেন এই বাংলাদেশি তারকা। তবে সেসব ভুলেই শেষ পর্যন্ত অবৈধ জাল নথি বানিয়ে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেতে গিয়ে পুলিশের হাতে পাকড়াও হলেন ওপার বাংলার শান্তা।
অবশ্যই পড়ুন: আনাচে কানাচে ফাটল! টালিগঞ্জ পর্যন্ত একাধিক মেট্রো স্টেশন সংস্কারের ভাবনা
প্রসঙ্গত, লালবাজারের গোয়েন্দাদের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, 2023 সালে বাংলাদেশ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন শান্তা পাল। অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা আশরফ নামক এক মার্চেন্ট নেভি কর্মীর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুত্ব হওয়ার খাতিরে, দুজন মিলে প্রথমে পার্ক স্ট্রিট এবং পরে গল্ফগ্রিনে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে লিভ ইনে থাকতে শুরু করেন।
দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন এভাবে বসবাস করার পর দালালদের হাত ধরে ভুয়ো আধার ও ভোটার কার্ড বানিয়ে বন্ধু আশরফের পরিচয় পত্র ও নিজের জাল নথি দেখিয়ে 60 লক্ষ টাকার বিনিময়ে দক্ষিণ কলকাতায় একটি সম্পত্তি কেনেন শান্তা। এরপর বন্ধুকে নিয়ে সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস করার পরিকল্পনা নেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের চাপে পড়ে শান্তা দাবি করেছিলেন, ওই ব্যক্তির সাথে ডিজিটাল বিয়ে করেছেন তিনি।
যদিও এ প্রসঙ্গে কোনও রকম যথাযথ তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই শান্তার পথ ধরেই আরও একাধিক বাংলাদেশি জাল পরিচয় পত্র বানিয়ে ভারতে বসবাস করছেন! উল্লেখ্য, শান্তার বিরুদ্ধে একাধিক যুবকের সাথে সম্পর্ক স্থাপনেরও অভিযোগ রয়েছে! সংবাদ প্রতিদিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, শান্তা পাল ওপার বাংলায় থাকাকালীনই এপার বাংলার টলিউডের এক পরিচালকের বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন।












