আবাস যোজনায় বাড়ি অতীত, এবার জমিও দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার! কাদের? জারি নির্দেশিকা

Published on:

mamata banglar bari

শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: কেন্দ্র সরকারের মুখাপেক্ষী হওয়ার বদলে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু করেছে নিজস্ব আবাস যোজনা (West Bengal Awas Yojana Banglar Bari)। এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাংলার বাড়ি’। ইতিমধ্যে পাঠানো হয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা। এরপরেই দেখা দিয়েছে সমস্যা।

‘বাংলার বাড়ি’ নিয়ে সমস্যায় মানুষ!

WhatsApp Community Join Now

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের আওতায় ১২ লক্ষ অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা পৌঁছে গিয়েছে গত ডিসেম্বর মাসে। টাকা পাঠানোর পর দেখা দিয়েছে সমস্যা। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সমস্যার মধ্যে পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১২ হাজার আবেদনকারী। এই বারো হাজার পরিবার ব্যাঙ্ক থেকে কিস্তির টাকা নাকি তুলতে পারছেন না। কেন টাকা তুলতে পারছেন না তাঁরা? জানা গিয়েছে, এই আবেদনকারীদের নাকি জমিই নেই, বাড়ি বানাবেন কোথায়!

আরও পড়ুনঃ ২ টাকারও কমে বাম্পার সুবিধা! দুর্ধর্ষ রিচার্জ প্ল্যান এনে গ্রাহকদের স্বস্তি দিল Jio, Vi, Airtel

আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য বাংলার বাড়ি প্রকল্প শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল কাজ। তারপর ডিসেম্বর মাসে পাঠানো হয় প্রথম কিস্তির টাকা। পুরো প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় এবং যোগ্য ব্যক্তিরাই যাতে প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন সে ব্যাপারে প্রথম থেকে গুরুত্ব দিয়েছে সরকার। তারপরেও এমন আবেদনকারীরা কী করে কিস্তির টাকা পেয়েছেন যাদের নিজস্ব জমিই নেই?

কী বলছেন মন্ত্রী?

“১২ লক্ষ মানুষ আবাস যোজনার টাকা পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে মাত্র ১ শতাংশ এই ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। আমরা বিষয়টা জানার পরেই জেলাগুলিকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলেছি। হতদরিদ্র মানুষগুলি মাথার উপর ছাদের জন্য আবেদন করেছিলেন। সরকার তাঁদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। এটা সরকারের সাফল্য”, সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

আরও পড়ুনঃ চাকরির চিন্তা ছাড়ুন, ৫০০০ টাকা বিনিয়োগে শুরু করুন এই ইউনিক ব্যবসা, মাসে হবে ৫০০০০ আয়

সমস্যা মেটানোর জন্য জেলা স্তরে ইতিমধ্যে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে বলে খবর। রাজ্যের হাতে যে খাস জমি রয়েছে, সেখান থেকেই কিছু অংশ সমস্যায় পড়া আবেদনকারীদের দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। আবেদনকারীরা এখন যে যেখানে থাকেন, তার আশেপাশেই জমি দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X