প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের রাজ্যে নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন! অভিযোগ উঠল এবার বাঁকুড়ায় (Bankura)। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ফেরার পথে আদিবাসী ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযুক্তকে গ্রেফতার পুলিশের। আর এই ঘটনায় অভিযুক্ত যুবকের কঠোরতম শাস্তির দাবিতে এবার পাত্রসায়ের থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আদিবাসীরা। পুলিশের ব্যরিকেড ভাঙার চেষ্টা করলেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিক্ষুব্ধ আদিবাসীরা।
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৬ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকায় আদিবাসী এক ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে সাইকেলে চড়ে বাড়ি ফেরার পথে ঘটে এক ভয়ংকর ঘটনা। অভিযোগ সাইকেল থামিয়ে স্থানীয় এক যুবক ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ও যৌন হেনস্থা করে। অভিযুক্তের নাম শেখ সেলিম। ওই সময় নিগৃহীতার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। এবং অভিযুক্ত ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের লোকের ধরে ফেলে এবং বেঁধে রাখা হয়।
থানা ঘেরাওয়ের ডাক বিক্ষোভকারীদের
ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা করার অভিযোগে ওই যুবককে প্রথমে গ্রামের লোকেরা উদোম মারধর করে, তারপর ধরে বেঁধে পাত্রসায়ের থানার পুলিশের হাতে তুলে দিলে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে। এমতাবস্থায় গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার, অভিযুক্ত যুবকের কঠোরতম শাস্তি এবং এলাকার আদিবাসী ছাত্রীদের স্কুল যাতায়াতের পথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পাত্রসায়ের থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেয় আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল। অস্ত্র হাতে মিছিল করে রীতিমত থানার সামনে জমায়েত করেন। পুলিশ থানার গেট বন্ধ করে মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পড়ানোর নামে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি গৃহ শিক্ষকের! ফের শিরোনামে বীরভূম
ধীরে ধীরে বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের থানা এলাকার পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করে। আদিবাসী ছাত্রীদের স্কুল যাতায়াতের পথে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিতে রীতিমত গর্জে ওঠে স্থানীয়রা। জোর করে থানায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। পুলিশের ব্যরিকেড ভাঙার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। আর সেই ধস্তাধস্তিতে মহিলা বিক্ষোভকারীদের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠে আসে এক পুরুষ পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। যদিও অনেকে বলে অস্ত্র হাতে বিক্ষোভ করায় তা ঠেকানোর জন্য তিনি এগিয়ে এসেছিলেন। শেষে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশ আদিবাসীদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিতেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।