প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যবাসীর সুবিধার কথা ভেবে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের (Banglar Bari Project) ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের জন্য আলাদা করে শৌচাগারের টাকা দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বাংলার বাড়ি প্রকল্পে শুধু মাথার উপর পাকা ছাদ-ই নয়, মিলছে পাকা শৌচালয় তৈরির টাকাও। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, শৌচাগারের জন্য অনেকেই এই আবেদন করতে নারাজ। খুবই কম লোক পাকা শৌচালয় নির্মাণের জন্য আবেদন করছে।
শৌচাগারের জন্য আলাদা টাকা দিচ্ছে সরকার
2019 এর সার্ভের পর আবাস যোজনার টাকা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘ টানাপোড়েন চলে। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রের ওপর আর ভরসা না করেই আবাস যোজনার টাকা নিজেই দেওয়া শুরু করল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দু’কিস্তি মিলিয়ে 1 লক্ষ 20 হাজার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
যার মধ্যে প্রথম কিস্তির 60 হাজার টাকা ডিসেম্বর মাসেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এবং দ্বিতীয় কিস্তির টাকাও কিছুদিনের মধ্যে ঢুকবে। এদিকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে উপভোক্তাদের শৌচাগার নির্মাণের জন্য আলাদা টাকা দেওয়া হয়। সেজন্য তাঁদের পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে।
শৌচাগার নির্মাণে নারাজ অনেকেই
কিন্তু প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় শৌচাগারের জন্য উপভোক্তারা খুবই কম আবেদন করেছেন। উত্তর 24 পরগনা জেলায় 81 হাজার 981 জন উপভোক্তাকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে প্রথম দফার 60 হাজার টাকা করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই যে সমস্ত উপভোক্তার লিন্টেল পর্যন্ত ঢালাই হয়ে গিয়েছে, তাঁদের দ্বিতীয় দফার 60 হাজার টাকা করেও দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু শৌচাগারের জন্য এই জেলায় উপভোক্তাদের মধ্যে মাত্র 969টি আবেদন জমা দিয়েছে। তবে যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রায় সব উপভোক্তাই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। এই উপভোক্তাদের অনেকেই আবার শৌচাগার তৈরির কাজ শেষও করে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন: “রাজ্য সরকার কি নারী-পুরুষের বিভেদ তৈরি করতে চায়?” প্রশ্ন হাইকোর্টের, কোন মামলায়?
এদিকে নবান্ন সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল যে, আবাস বাড়ি যোজনার ক্ষেত্রে কোনও উপভোক্তার যদি শৌচাগারের প্রয়োজন হয়, তাহলে প্রতি উপভোক্তাকে সেজন্য দেওয়া হবে 12 হাজার টাকা। তবে, সেক্ষেত্রে উপভোক্তাকে পৃথকভাবে আবেদন করতে হবে। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল শৌচাগার নির্মাণের জন্য অনেকেই কোনো উচ্চবাচ্চ্য করছে না সরকারের কাছে। এছাড়াও , উত্তর 24 পরগনা জেলায় কয়েকজন উপভোক্তা আবাস যোজনার প্রথম দফার টাকা পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই 11 জন বাড়ি তৈরির প্রথম দফার 60 হাজার টাকা ফিরিয়েছেন।
বাড়ি তৈরির টাকাও ফেরানো হচ্ছে!
যদিও এই টাকা ফেরৎ দেওয়ার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে জমিজটের প্রসঙ্গ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, উপযুক্ত জমির কারণে উপভোক্তারা বাড়ি তৈরি করতে পারেননি। ফলে তারা 60 হাজার করে টাকা ফিরিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সঙ্গে শৌচাগার নির্মাণ নিয়ে এবার সোচ্চার হল রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, আমরা বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা করতে গিয়ে উপভোক্তাদের শৌচাগারের জন্য আবেদন করতে বলছি।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |