শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বাংলায় DA নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হতেই চাইছে না। এদিকে এই মামলা বারবার সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও চূড়ান্ত শুনানি হচ্ছে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন ভাঙছে মামলাকারী সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে নানা সংগঠনের। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের সম্পর্কিত মহার্ঘ্য ভাতা (Dearness allowance) মামলার শুনানি আবারো স্থগিত করেছে। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ ২২ এপ্রিল শুনানির জন্য পুনর্নির্ধারণ করেছে। যদিও এই বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
DA মামলা নিয়ে আশাবাদী সরকারি কর্মীদের নেতা
নিজের ফেসবুক ওয়ালে আবারো বড় দাবি করেছেন মলয় মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘ভেবেছিলাম সময়ের অভাবে শুনানি হবে না কিন্তু ৩:১৫/২০ মিনিটের বিচারপতি দ্বয় সরকারি আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন মামলাটি কেন ডিসমিস হবে না, তিনি সেই গতানুগতিক ৪০ হাজার কোটি টাকার গল্প শোনান। কিন্তু তার কথায় কর্ণপাত না করে মামলাটির আগামী ১৪/৪/২৫ টপে রেখে তা শোনার কথা বলেন। পরবর্তীতে তারিখটি পরিবর্তন হয়ে ২২/৪/২৫ তারিখে রাখা হয়। আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।’
DA মামলা নিয়ে চলছে দীর্ঘ শুনানি
২০২২ সালের মে মাসে, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় যে তারা যেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমান হারে তাদের কর্মচারীদের ডিএ দেয়। তবে, রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে, যেখানে মামলাটি এখনও অমীমাংসিত। ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে পরবর্তী শুনানিতে স্পষ্ট করতে বলেছে কেন তাদের আপিল শীর্ষ আদালতে গ্রহণ করা উচিত। কর্মচারীদের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামীম সুপ্রিম কোর্টকে মামলার দ্রুত শুনানির জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ সোনায় সোহাগা! টানা পতন হলুদ ধাতুর দামে, নতুন রেটে স্বস্তিতে মধ্যবিত্তরা, রইল আজকের দর
তারা যুক্তি দেন যে দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানি হয়নি এবং আদালতের কাছে শুনানির জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ নির্ধারণের জন্য আবেদন করেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চ জানায় যে ২২ এপ্রিল শুনানি হতে পারে। সকল পক্ষই অনুরোধ করেন যে মামলাটি সেই দিন শুনানির জন্য ‘বোর্ডের উপরে’ রাখা হোক। এদিকে, গত মাসে বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপনের সময় অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ডিএ চার শতাংশ বৃদ্ধির ঘোষণা করেছিলেন, যা তা ১৮ শতাংশে নিয়ে গেছে। এখানে অবস্থায় আগামী ২২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট বাংলার ডিএ সম্পর্কিত কোনও চূড়ান্ত শুনানি করে কিনা সেদিকে নজর থাকবে সকলের।












