শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের একের পর এক রায়কে ঘিরে শোরগোল আগে থেকে পড়েছিল বাংলায়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হাইকোর্টের একটি রায়ের জেরে কেঁপে গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। SSC নিয়োগ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলকেই বাতিল করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এক ধাক্কায় চাকরি হারিয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী। কেউ অসুস্থ তো কেউ অন্তঃসত্ত্বা, চাঁদিফাটা রোদ উপেক্ষা করে বাকি চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে এবার রাস্তায় নেমেছেন চাকরিহারারাও।
হকের চাকরি ফিরে পেতে দফায় দফায় বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন সকলে। সকলের মুখে এখন একটাই কথা, চাকরি ফেরত না পেলে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই কারোর। ইতিমধ্যে বিগত ৮ বছরের বেতন সুদ সহ ফেরত দেওয়ার রায় দিয়েছে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ইতিমধ্যে ডিভিশন বেঞ্চের এহেন রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে শুরু করে এসএসসি এবং রাজ্যের শাসক দল। তবে এরই মাঝে চাকরি হারাদের নিয়ে বিরাট বড় সিদ্ধান্তের পথে হাটল মমতা পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য কী এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জেনে নিন আপনিও।
চাকরিহারাদের জন্য বড় ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের
জানলে অবাক হবেন, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীকে এপ্রিল মাসের বেতন দেবে রাজ্য সরকার। হ্যা ঠিকই শুনেছেন। সুপ্রিম কোর্টের রায় না আসা পর্যন্ত বেতন দেওয়ার কথাও ভাবছে রাজ্য সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্য সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর এপ্রিল মাসের বেতন দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ ভ্যাপসা গরমের মাঝে দুই জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস! কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের রায় না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের বেতন দেওয়ার কথাও ভাবছে। এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘যেহেতু শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীরা প্রায় পুরো এপ্রিল মাস কাজ করেছে, তাই আমরা তাদের মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ রাজ্যের যুক্তি, শ্রম আইন অনুসারে, কেউ কাজ করলে তার উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হয়।