প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ফের মৃত্যু হল বাংলার এক শ্রমিকের! ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে (Tamil Nadu)। গতকাল সকালে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের বাসিন্দা হরষিত হীরার পরিবারে মৃত্যুর খবর পৌঁছয়। আর তাই শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার। যদিও মৃত্যুর কারণ হিসেবে সংস্থার তরফ থেকে স্ট্রোকের কথা জানানো হলেও তা মানতে নারাজ পরিবার। তবে কি ভিন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের অত্যাচারের প্রসঙ্গ ফের উঠে আসছে খবরের শিরোনামে? শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।
দেড় বছর আগে বাড়ি এসেছিলেন শ্রমিক
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, এবং পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, প্রায় ১৫ বছর আগে সংসারের হাল ধরতে তামিলনাড়ুর চিচিড়াপল্লি এলাকায় লোহার কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা ব্লকের বছর চল্লিশের বাসিন্দা হরষিত হীরা। তখন থেকেই বাড়ি ছাড়েন তিনি। তারপর দেড় বছর আগে শেষবারের মতো পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি এসেছিলেন। কয়েকদিন কাটিয়ে এরপর ফের সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি চলে যান তামিলনাড়ুর কর্মক্ষেত্রে। এমতাবস্থায় গতকাল অর্থাৎ রবিবার, ৩১ আগস্ট, সকালে তাঁর কর্মস্থল থেকে পরিবারের কাছে ফোন আসে যে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন হরষিতবাবু। কিন্ত কীভাবে এই মৃত্যু হয়েছে, সে নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
ময়নাতদন্তের দাবি পরিবারের
তিরুচিরাপল্লির এক বেসরকারি সংস্থার অধীনে দিনমজুরের কাজ করতেন হরষিত হীরা। পরিবারে স্ত্রী ছাড়া তাঁর দুই কন্যাসন্তান আছে। পরিবারের কাছে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন হরষিত। কিন্তু তাঁর এই অকাল প্রয়াণে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিকে সম্প্রতি ভিন রাজ্যের পরিচয় শ্রমিকদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা উঠে আসতেই পরিবারের আশঙ্কা হরষিত হীরাও হয়ত এই পরিস্থিতির কারণে মারা গিয়েছে। তাই তাঁরা এবার ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এমতাবস্থায় তামিলনাড়ু থেকে তাঁর দেহ ফেরাতে তৎপর জেলা প্রশাসন। এরপর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসলেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নবান্ন থেকে ঘোষণা, আজ থেকেই চালু শ্রমশ্রী পোর্টাল! অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করার উপায়
সাহায্যের আশ্বাস শাসকদলের
ভিন রাজ্যে ভাইয়ের এই মৃত্যু পরিণতি দেখে কান্না ভেঙে পড়েছেন মৃতের দাদা নবকুমার হীরা। তিনি বলেন, “গত শনিবার তামিলনাড়ুর ওই বেসরকারি কারখানা থেকে স্ট্রোক হয়ে নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে নাকি মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। কিন্তু সত্যিটা বলতে পারব না, একমাত্র ওখানে যারা আছে, তারাই বলতে পারবে। এদিকে ও পরিবারের একমাত্র রোজগারে ছিল। বাড়িতে দু’জন সন্তান আছে। সরকার যদি কোনোভাবে এদের সাহায্য করে তাহলে অকালে পথে বসতে হবে না পরিবারকে। যদিও অসহায় এই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, “দলের তরফে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।”
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |