প্রীতি পোদ্দার: আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। বাঙালি রীতি অনুযায়ী ধনদেবীর আরাধনায় সকাল থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। কিন্তু এই খুশির দিনে ঘটল এক ভয়ংকর ঘটনা। সাতসকালেই বহরমপুরে চলল গুলি। দুষ্কৃতীদের হামলায় মৃত্যু হল এক ব্যবসায়ীর।
ঘটনাটি কী?
ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার রাধারঘাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নাথপাড়ার মোড়ে। রোজ সকালে প্রাতঃভ্রমণে যাওয়ার অভ্যাস রয়েছে জমি ব্যবসায়ী প্রদীপ দত্তর। বয়স পঞ্চান্ন। তাই আজ সকালেও সাড়ে ছটা নাগাদ বাড়ি থেকে হাঁটতে বেরন তিনি। আর তখনই ঘটে বড় বিপদ। নিমেষের মধ্যে বাইকে চড়ে দুই দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। এবং ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে ৭-৮ রাউন্ড এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ব্যবসায়ী। তাঁকে ঘিরে লোক জড়ো হয়ে যায় এবং তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
খবর পাওয়া মাত্রই বহরমপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। শেষে ব্যবসায়ীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেই চেষ্টাও বৃথা হয় কারণ চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাভাবিকভাবেই সাতসকালে খুনের ঘটনায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ব্যবসায়িক বিবাদ নাকি, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে খুন, খতিয়ে দেখছে বহরমপুর থানার পুলিশ। তবে পুলিশের প্রাথমিক আশঙ্কা যে অনেকদিন ধরেই সেই দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ীকে ফলো করছিল তাই খুব করার জন্য প্রাতঃভ্রমণ এর সময়কেই বেছে নিয়েছে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ!
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রদীপ দত্ত নাকি একজন তৃণমূল কর্মী। তিনি জমি কেনাবেচার কাজ করতেন। আগে নাকি প্রদীপ দত্ত আগে কংগ্রেস দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লক্ষ্মীপুজোর সকালে এমন খুনের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারাও। ঘটনাস্থলে টহল দিচ্ছে পুলিশ। আততায়ীদের খুঁজতে তল্লাশিও শুরু হয়েছে। জমি সংক্রান্ত কারণে খুন না কি এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।