বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: প্রেমের টানে অশান্ত বাংলাদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন মালদার এক যুবতী ! সূত্রের যা খবর, চোরাপথে সীমান্ত দিয়ে BSF-র নজর এড়িয়ে ইউনূসের দেশে ভালবাসাকে খুঁজতে ছুট লাগান ওই যুবতী (Indian Girl In Bangladesh)।
এদিকে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে মিসিং ডায়েরি করান অসহায় বাবা-মা। পরবর্তীতে ওই যুবতীকে মালদা জেলার পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের নওগাঁ জেলার সপাহারা থানার বামনপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যরা।
মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চলছে পাচার চক্র!
আচমকা মালদার ওই যুবতী নিখোঁজ হওয়ায় কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েছিল গোটা পরিবার! পরবর্তীতে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় বাংলাদেশে মেয়ের খোঁজ পেয়েছেন বাবা-মা। তবে সূত্রের খবর, যুবতীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তত্ত্ব খাড়া করেছে তৃণমূল-বিজেপি। একদিকে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচার চক্র চলছে!
অন্যদিকে তৃণমূলের তরফে পাল্টা বলা হয়, ওই যুবতী বাংলাদেশে কীভাবে গেল তার জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত BSF-কে! সবমিলিয়ে চোরাপথে তরুনীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনৈতিক রঙ চড়াতে শুরু করেছে দুই দলই।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করেই প্রেমের জালে পা দেন যুবতী
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা খবর, বেশ কয়েক মাস আগে মাসুদ নামক এক বাংলাদেশি যুবকের সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল ওই যুবতীর। পরবর্তীতে ফোনেই চলে দীর্ঘ আলাপচারিতা। এরপর নাকি তাঁর টানেই চোরাপথে বাংলাদেশে পৌঁছে যান মালদার ওই যুবতী ।
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই মালদার ওই যুবতীকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশের সপাহার থানার পুলিশ। এদিকে যুবতীর পরিবারের অভিযোগ, তারা এ বিষয়ে কিছুই জানতো না! সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়ের সাথে পরিচয় হয়েছিল ওই যুবকের। এরপরই নাকি যুবতীকে প্রেমের জালে ফাঁসায় ওই যুবক।
পাচারের চেষ্টা হয়েছিল?
মালদার ওই যুবতীর পরিবারের তরফে অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই যুবতীর পরিবার জানায়, সম্ভবত সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশের ওই যুবকের সাথে কথা বলতো তাঁদের সন্তান। পরবর্তীতে মেয়েকে ভুলিয়ে-ভালিয়ে ও দেশে ডেকে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছিল বলেই অভিযোগ করেছেন ওই যুবতীর বাবা-মা।
অবশ্যই পড়ুন: ভারত-পাক সংঘাতের জের, অমৃতসর-ওয়াঘা সীমান্তে ১২০০০০০০০০০০ টাকার ক্ষতি!
এ প্রসঙ্গে, বিজেপি উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি তথা ওই এলাকার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য বীণা কীর্তনীয়া জানান, মালদার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকা গুলিতে পাচার চক্র চলছে। তাঁর দাবি ছিল, লাভ জেহাদের নাম করে ওই যুবতীকে পাচারের চেষ্টা হচ্ছিল। আর এই ঘটনার নেপথ্যে রাজ্য পুলিশের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন তিনি।