বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে আসবেন আম্বানিরা, তার আগে নিউটাউনে মশা তাড়াতে তৎপর রাজ্য

Published on:

Bengal Global Business Summit

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে বহু অপেক্ষাকৃত সম্মেলন। আর সেটি হল ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’ বা বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (Bengal Global Business Summit)। যেটি কিনা নিউটাউনে অনুষ্ঠিত হবে। অপেক্ষার বাকি একটা রাতের। এরপর মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দালদের মতো দেশের স্বনামধন্য শিল্পপতিদের উপস্থিতি, অন্যদিকে জার্মানি থেকে জাপান তথা ইউরোপের নামী বণিকমহলের উপস্থিতিতে জমে উঠবে গোটা সম্মেলন। তাই শেষ মুহূর্তে চলছে প্রস্তুতি। এদিকে তার আগে নিউটাউনে মশার উপদ্রব ঠেকাতে শুরু হয়েছে ভেষজ ধুনোর ব্যবহার।

আমাদের সাথে যুক্ত হন Join Now

সম্মেলনের আগে বড় উদ্যোগ

জানা গিয়েছে এবারের বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিতে চলেছে ২০টি দেশ। সম্মেলনে বাড়তি মাত্রা যোগ হবে পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের উপস্থিতি। বাণিজ্যে এবার দেখা যাবে বাংলার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডকে। এছাড়াও আসছেন ভুটানের রাজা জিগমে খেসর নামগেল ওয়াংচুক। কিন্তু তার আগে মশার উপদ্রব কমাতে বিশেষত ইকো পার্ক তল্লাটে, ধুনোর সঙ্গে নারকেল ছোবড়া, নিমপাতা ও কর্পূর মিশিয়ে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। আসলে একটু শীতের দাপট কমতেই শুরু হয়ে গিয়েছে মশার উপদ্রব। তাই সেক্ষেত্রে সম্মেলনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য নেওয়া হল এই ব্যবস্থা।

কী বলছেন আধিকারিকরা?

এই ধুনো প্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘ প্রশাসনের তরফে তেল পুড়িয়ে ফগিং মেশিনের ধোঁয়া দেওয়া এখন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে মশা তাড়াতে অন্যান্য পদক্ষেপের পাশাপাশি, ভেষজ ধুনোর ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে সম্মেলন ঘিরে মুখ্যমন্ত্রী-সহ বহু বিশিষ্ট মানুষের জমায়েতের সময় ইকো পার্কে যাতে কোনো সমস্যা তৈরি না হয়। ফলে সম্প্রতি নিউ টাউন বইমেলায় ধুনো দিয়ে মশা তাড়ানোর কাজে সাফল্য মিলেছে। তাই সম্মেলনের সময়েও ফের ধুনোর ব্যবহার করা হচ্ছে।’’ এছাড়াও বিশ্ববাংলা কনভেনশন সেন্টারের ভিতরে সম্মেলন চললেও তার বাইরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে। যার ফলে রাত পর্যন্ত দেশ-বিদেশের অতিথিদের জমায়েত হবে সেখানে। তাই সেখানেও ধুনো ছড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে।

Whatsapp Broadcast Join Now

আরও পড়ুনঃ BDO-র জেল নয় কেন? হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকার

ইতিমধ্যেই গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও ধুনোর ব্যবহারে সম্মতি দেওয়া হয়েছে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে NKDA। ধুনোর গন্ধ ছড়াতে ইকো পার্কের বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে স্ট্যান্ড। জানা গিয়েছে প্রতিদিন বিকেলের পর থেকে ধুনো দেওয়া শুরু হবে। এছাড়াও শোনা গিয়েছে যে উদ্বৃত্ত খাবার কুড়িয়ে বায়োগ্যাস প্রকল্পের কাজে ওই এলাকায় প্রচুর কাঁচা আবর্জনা পড়ে থাকে, যাতে বাড়ে মশা-মাছির উৎপাত। তাই সেক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। গত দু’-তিন দিন ধরে এলাকায় সাফাই অভিযান বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তাও মেরামত করার কাজ চলছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X