সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ আট বছর পর জট কাটল ভাবাদিঘির (Bhabadighi Rail Project)। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইনের কাজ আবারও শুরু হয়েছে। রবিবার গোঘাটের ভাবাদিঘিতে স্থানীয় বাসিন্দা, রেল এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা, পাশাপাশি কামারপুকুর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষরা উপস্থিত থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে এই রেল প্রকল্পের কাজের সূচনা করেছেন।
উৎসবে মাতলেন গ্রামবাসীরা
জানা যায়, ভাবাদিঘির জন্য এই দিনটি ছিল আনন্দের উৎসব। রেললাইনের কাজ পুনরায় শুরু হওয়ায় গ্রামবাসীরা আনন্দে উৎসবে মেতে প্রায় দেড় হাজার মানুষের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজনেরও আয়োজন করে। উল্লেখ্য, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এই রেল লাইনের কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালে রেলপথ নির্মাণের কারণে ৫২ বিঘা দিঘির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, এই আশঙ্কাতেই স্থানীয়রা প্রতিবাদে নেমেছিলেন। আর তখনই তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাছ থমকে গিয়েছিল।
ভাবাদিঘি রেল প্রকল্পের জট কাটল কীভাবে?
এদিকে ভাবাদিঘি আন্দোলনের নেতাদের মতে, এই জট কাটাতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন গোঘাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও সম্রাট বাগচি, আরামবাগের এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্ত, এবং গোঘাট থানার ওসি মধুসূদন পাল। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ এবং প্রশাসনের সক্রিয় পদক্ষেপে এই রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়েছে।
উল্লেখ্য, ভাবাদিঘির মানুষ দীর্ঘ আট বছর ধরেই জলাশয় বাঁচানোর জন্য আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। আর সে কারণেই এই রেল লাইনের কাজ স্থগিত হয়েছিল। আলোচনার মাধ্যমেই জট কাটার পর পুনরায় শুরু হয় এই রেল প্রকল্পের কাজ। এদিকে ভাবাদিঘি আন্দোলনের নেতা দিলীপ পণ্ডিত জানিয়েছেন, জলাশয় না বুজিয়ে সেতু তৈরি করে ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনকি কামারপুকুর-জয়রামবাটির সংযোগও হবে।
আরও পড়ুনঃ Gmail থেকে Zoho Mail-এ ট্রান্সফার করুন নিজের সব মেইল! রইল প্রসেস
আর এই রেললাইন চালু হলে স্থানীয় মানুষদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ থেকে শুরু করে অর্থনীতিতেও নতুন মোড় নেবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গোঘাটের বিডিও সম্রাট বাগচি বলেছেন, আমরা চাই ভাবাদিঘির মানুষ ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক। রেল লাইনের কাজও দ্রুত গতিতে এগোক। এতে এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে।