প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস ধরেই খবরের শিরোনামে বারংবার উঠে আসছিল সিভিক ভলেন্টিয়ারদের (Civic Volunteer) সাধারণ মানুষের ওপর নানা দাদাগিরি ফলানোর কাহিনী। তবে আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক-ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পর থেকেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রতি এক খারাপ মনোভাব তৈরি হয়েছে সকলের মনে। আর তারপর থেকেই একাধিক জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার থেকে শুরু করে ক্ষমতার অপব্যবহারের নানা অভিযোগ উঠে আসছে। তাই এই আবহেই রাজ্য সরকার প্রায় এক লক্ষ ১৫ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রশিক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়।
সিভিকদের নয়া প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা!
আরজি কর কাণ্ডের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, রাজ্যে কত জন সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন এবং তাঁদের নিয়োগ কী ভাবে হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যের তরফে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। অন্যদিকে ভবানী ভবন জানিয়েছে রাজ্য পুলিশে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের তিন মাসের প্রশিক্ষণ দিতে চায়। তাই এই মর্মে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ওই বিষয়ে নবান্ন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা স্তরে পুলিশ সুপার বা কমিশনারেট এলাকায় নগরপালের অধীনে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। অর্থাৎ কলকাতা পুলিশের তরফে তাদের এলাকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও রাজ্য স্তরে তা এখনও ছড়ায়নি। নবান্নের সিদ্ধান্তের উপর সম্পূর্ণ নির্ভর করছে।
প্রশিক্ষণ বিষয়ে ভবানী ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ শুরু হলে আইনের পাঠ দেওয়া হবে। এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত তাও শেখানো হবে। পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কী করণীয় এবং কোন কাজ করা উচিত নয়, তা নিয়েও পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এছাড়াও নিয়ম-শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়ার কথা প্রস্তাবে রয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা বাহিনীর সদস্যদের করানো হয়, তা-ও করার কথা বলা হয়েছে বলে সূত্রের দাবি।
আচরণের বিধিও শেখানো হবে সিভিকদের
এই বিষয়ে এক পুলিশকর্তা জানান, এত সংখ্যক সিভিক ভলান্টিয়ারকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যাবে না। তাই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জেলা স্তরে পুলিশ সুপার বা নগরপালেরা তাদের প্রশিক্ষণের সব ব্যবস্থা করবেন। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণ শুরু হলে আইনের পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। সেই সঙ্গে মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করবেন তাঁরা, শেখানো হবে তা-ও।
পাশাপাশি, জরুরি পরিস্থিতিতে কী করণীয় এবং কোন কাজ করা উচিত নয়, তা নিয়েও পাঠ দেওয়া হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এর সঙ্গেই নিয়ম-শৃঙ্খলার পাঠ দেওয়ার কথা প্রস্তাবে রয়েছে। শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য যা যা বাহিনীর সদস্যদের করানো হয়, তা-ও করার কথা বলা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |