দফতরগুলিকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিয়েই চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটল না। বিশেষ করে এবার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নিয়োগের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে চলেছে বাংলার সরকার। আপনিও কি পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা? আপনিও কি রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরে চাকরি করেন? তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন
এবার পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন আনতে চলেছে নবান্ন। মূলত বদলি নীতিতে এই পরিবর্তন আসতে চলেছে। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কি পরিবর্তন? তাহলে জানিয়ে রাখি, সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে এবার থেকে পঞ্চায়েত দফতরে কর্মরত কোনও কর্মীই তিন বছরের বেশি একই গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতিতে থাকতে পারবেন না। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।
ইতিমধ্যে এই মর্মে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর থেকে রাজ্যের প্রতিটি জেলার জেলাশাসকদের কাছে এই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। মূলত পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে একদম স্বচ্ছ এবং দুর্নীতিমুক্ত রাখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে খবর।বর্তমান সময়ে নানা দফতরে দুর্নীতির অভিযোগকে ঘিরে অস্বস্তিতে রয়েছে সরকার। আর এই সকল ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে মূলত পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
গ্রেফতার আধিকারিক
সম্প্রতি বেনিয়মের অভিযোগে মুর্শিদাবাদে পঞ্চায়েত সমিতির এক আধিকারিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই ঘটনা সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে। শুধু তাই নয়, কাজে ঢিলেমি, বছরের পর বছর একই জায়গায় পোস্টিং থাকায় অনেকে নিয়মিত অফিসেও যান না বলেও অভিযোগ উঠেছে। আর এর জেরে চরম ভোগান্তির মুখোমুখি হতে হয় সাধারণ মানুষকে। তবে আর ‘দাদাগিরি’ চলবে না। রাজ্যে এখন ৩৩২টি পঞ্চায়েত সমিতি এবং ৩ হাজার ৩৪৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। আগামী দিনে যাতে আর কোনওরকম সমস্যা না হয় তা দেখার জন্য এই বদলি নীতির শরণাপন্ন হতে চলেছে সরকার বলে মনে হচ্ছে।