শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে যেন নিত্য নতুন আপডেট প্রকাশ্যে উঠে আসছে। আর এই আপডেট যত আশ্চর ততই যেন রাজ্যের শাসক দলের অস্বস্তি বাড়ছে। যদিও দলের তরফে জানানো হয়েছে, এই ধরণের ঘটনা যে বা যারা ঘটিয়েছে তাঁদের সমর্থন করে না সরকার। যাইহোক, এদিকে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে বিরাট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে সকল রেশন ডিলাররা চুপিসারে কারচুপি করে আসছিলেন তাঁদের এবার সাবধান হওয়া দরকার বৈকি। আপনিও কি প্রতি মাসে সরকারের তরফে দেওয়া রেশন গ্রহণ করেন কিংবা রেশন ডিলার? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
রেশন ব্যবস্থায় বড় বদল
মূলত আগামী দিনে এই রেশন বন্টন ব্যবস্থা নিয়ে সরকারকে যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয় তার জন্য বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এবার সবকিছুর পাই পাই হিসেব রাখবে খাদ্য দফতর। কোনোরকম কারচুপি নজরে এলেই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হাত থেকে রাজ্য পিছু হটবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনিতে রেশন ডিলারদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে রেশন সামগ্রী খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। খাদ্য দফতরের কান থেকেও এই কথা এড়ায়নি বলে মনে হচ্ছে। এবার এই প্রবণতা রুখতে আরও কঠোর পদক্ষেপ করল খাদ্য ও সরবরাহ দফতর।
এবার থেকে রেশন দোকানে সরকার থেকে বরাদ্দ চাল, গমের হিসেব না মিললেই ডিলারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবে খাদ্য ও সরবরাহ দফতর। কারচুপির খবর কানে আসতেই রেশন ডিলারকে জরিমানা তো করাই হবে, তার পাশাপাশি ডিলারদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
লাইসেন্স বাতিলের হুঁশিয়ারি রাজ্যের
বহু মানুষ অভিযোগ করেন, রেশন ডিলাররা সরকারি ভর্তুকির চাল, গম, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করে দেন। সেটা রুখতে এবার থেকে ডিলারের কাছে কতটা পরিমাণে চাল, গম, আটা মজুদ রয়েছে তা নিয়মিত খতিয়ে দেখা হবে। এই মর্মে ইতিমধ্যে রাজ্যের খাদ্য দফতরের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। আর সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, রেশন দোকানে বরাদ্দ করা অতিরিক্ত চাল গম যতটা পরিমাণ থাকবে তার তিনগুণ পর্যন্ত জরিমানা দিতে হবে। মূলত রেশনের সামগ্রী পাচার রুখতে এরকম পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দফতর বলে অনুমান।
প্রয়োজনে আরও বেশি বেশি Epos মেশিন আনা হবে। বর্তমানে রেশন দোকান থেকে কতটা পরিমাণে চাল, গম বণ্টন করা হচ্ছে তা ই পস মেশিনে বোঝা যায়। সেই মেশিন পরীক্ষা করলেই সহজেই জানা যায় যে ডিলারের কাছে কত পরিমাণ রেশন সামগ্রী পড়ে রয়েছে। আর তার হিসাব না মিললেই সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিলারকে জরিমানা করা হবে। সেইসঙ্গে রাখা হবে বিশেষ স্লিপও।