প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: টেট পরীক্ষা (WB TeT) নিয়ে প্রথমদিকে একের পর এক জটিলতা দেখা দিলেও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দায়িত্ব নেওয়ার পরেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়ে দেন বছরে দু’বার টেট গ্রহণ করা হবে বলে। সেই মতো দ্বিতীয় পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর। আর সেখানে ২০২২ সালের তুলনায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ শতাংশ কম ছিল। ৩ লক্ষ ৯ হাজার ৫৪ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে টেটে বসেন প্রায় ২ লক্ষ ৭২ হাজার পরীক্ষার্থী। কিন্তু এবার সেই চিত্র সম্পূর্ণ উল্টে গেল। সম্প্রতি পর্ষদ সূত্রে জানা গেল ২০২৪-এ আর টেট পরীক্ষা হচ্ছে না।
চলতি বছর কি বাতিল হবে টেট পরীক্ষা? Primary TET 2024
প্রথম থেকেই প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের ঝুড়ি ঝুড়ি অভিযোগ ছিল। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমত অভিযোগের লম্বা তালিকা ঝুলিয়ে দিয়েছিল প্রার্থীরা। আর এই বেনিয়ম-দুর্নীতির ঠেলায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। সব শেষে বহুদিন ধরে হাইকোর্টে অনেক মামলা-মোকদ্দমা চলার পর ২০২২ সালে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। তখনই পর্ষদের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয় গৌতম ঘোষকে।
কী বলছেন পর্ষদের সভাপতি?
আর দায়িত্ব অধিগ্রহণের পরে গৌতম পাল ২০২২ সালে ডিসেম্বরে পরীক্ষার সূচনা হয়। অর্থাৎ পাঁচ বছর পরে ফের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। ২০২২-এর পর ২০২৩-এও প্রাথমিক টেট পরীক্ষা হয়। কিন্তু গণ্ডগোলটা হয় এই বছর। যেহেতু আগের দু বছর টেট পরীক্ষার চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ এখনও হয়নি, তাই আপাতত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না বলেই জানা দেওয়া হল পর্ষদের পক্ষ থেকে। এই প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “আমরা আগে দ্রুত নিয়োগ করব, তারপর পরীক্ষা নেব।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ছয় লক্ষেরও বেশি। পরের বছর ২০২৩ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা শুধু কমেনি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ছিল যথেষ্ট পরিমাণে কম। সেই সময় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে বলা হয়েছিল, যেহেতু এ বছর খালি ডিএলএড উত্তীর্ণরাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, তাই এই সংখ্যা অনেকটাই কমেছে।