কলকাতাঃ রেল যাত্রীদের জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। বিশেষ করে যারা তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনে ট্রেন পরিষেবার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁদের জন্য রইল সুখবর। তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুরের মধ্যে সংযোগকারী রেললাইন তৈরির কাজ রেলের কাছে এক উচ্চাভিলাষী প্রকল্প। কিন্তু নানা কারণে এই প্রকল্পের কাজ আটকে যাচ্ছে। তবে আর চিন্তা নেই, কারণ এই প্রকল্প নিয়ে সামনে এল বড় আপডেট।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প
এমনিতেই সাধারণ মানুষের কথা ভাবনা চিন্তা করে প্রত্যেকবারই কিছু না কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে রেল। যাত্রী সাধারণের কথা ভাবনা চিন্তা করে একের পর এক রেল রুট, ট্রেন, রেল স্টেশন সেই সঙ্গে ট্রেনে বসার আসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করছে রেল। সেইসঙ্গে নিত্য নতুন রেল লাইনের কাজও হচ্ছে জোরকদমে। যার মধ্যে অন্যতম হল তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্প। এই রেলপ্তহ শুরু হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ধার্মিক জায়গা তারকেশ্বর এবং পোড়ামাটির শহর হিসেবে খ্যাত বিষ্ণুপুরের মধ্যে রেল পরিষেবা শুরু করা যায় সেই নিয়ে কাজ এগোচ্ছে। মধ্যিখানে স্টপেজ হিসেবে থাকবে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটির মতো কিছু বিঝ্যাত জায়গা।
কত দূর এগোল তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর লাইনের কাজ
রেলের তরফে জানানো হয়েছে, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল সংযোগ প্রকল্পটি প্রায় শেষের পথে, বিভিন্ন অংশে বৃহত্তর অংশের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে। বিষ্ণুপুরের বড়গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি ৭.১ কিমি পর্যন্ত রেল লাইন ও সেতু নির্মাণের কাজ বিদ্যুতের গতিতে এগোচ্ছে। জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর এই ৫ কিমি পথ জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার অংশের কাজের অগ্রগতি বাধাপ্রাপ্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। গলায় বিঁধছে রেলের। সেইসঙ্গে তো রয়েইছেই কামারপুকুর থেকে গোঘাট ৯০০ মিটার বিস্তৃত ভাবাদিঘি অঞ্চলের সমস্যা।
কবে শুরু হবে পরিষেবা
এছাড়া দ্বিতীয় পর্যায়ে বড় গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত ৭.১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৭.১ কিলোমিটার পর্যন্ত ৭০ শতাংশ মাটি ও সেতুর কাজ শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে জয়রামবাটি স্টেশন ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। পরবর্তী পর্যায়ে জয়রামবাটি থেকে কামারপুকুর পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কাজ জমি অধিগ্রহণে বিলম্বের কারণে, বিশেষত ২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সময়ের কারণে কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছিল বলে জানা গেছে। যদিও জট এখন কেটে গিয়েছে এবং সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শীঘ্রই এই রেল রুট তৈরি হয়ে যাবে। পূর্ব রেলওয়ে সিপিআরও কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, ‘কাজ চলছে তড়িঘড়ি । এলাকার মানুষজন যদি আমাদের আরও সহযোগিতা করেন তাহলে খুব ভালো হয় । 2025 সালের মধ্যেই কাজ শেষ হবে বলে আশা করা যায়।’