শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আর মাত্র কিছুটা সময়, তারপরেই একসঙ্গে জুড়ে যাবে কলকাতা ও কল্যাণী (Kolkata-Kalyani)। জানা গিয়েছে, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েকে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য ৩,৮০০ মিটার দীর্ঘ একটি সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে কল্যাণী এইমসের মধ্যে ৪৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়ার সময় ২ ঘণ্টা থেকে কমে ৪৫ মিনিট হবে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। অর্থাৎ সেই দিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যখন কল্যাণী ও কলকাতা আরও কাছাকাছি হবে।
আরও কাছাকাছি কলকাতা-কল্যাণী
কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে, ৪৪.২ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৪ এবং ৬ লেনের টোল বিশিষ্ট মহাসড়ক যা কলকাতাকে কল্যাণীর সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে যোগ দিতে চলেছে – ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ গতির করিডোর যা কলকাতা বিমানবন্দরকে দক্ষিণেশ্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এটি আবার মাঠকল এবং সুকান্তপল্লী বাস স্টপের মধ্যবর্তী একটি জায়গা। যদিও বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে।
কাজ এগোচ্ছে দ্রুত গতিতে
নতুন রাস্তার ৬০০ মিটার অংশ এখনও নির্মাণাধীন রয়েছে। এটি সম্পন্ন হয়ে গেলে, দুটি স্পিড করিডোর মিলিত হতে পারে, যা ভ্রমণকে এখনকার চেয়ে অনেক মসৃণ করে তুলবে। জিরো পয়েন্টে যাতে যানজট না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য পূর্ত দফতর মাঠকল ও সুকান্তপল্লীর মধ্যে ১৩০০ মিটার এলিভেটেড করিডরও তৈরি করছে যাতে দক্ষিণেশ্বর এবং বিমানবন্দরগামী ট্র্যাফিক জিরো পয়েন্ট ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে জুম করতে পারে যেখানে দুটি এক্সপ্রেসওয়ে মিলিত হয়।
সূত্রের খবর, সেতুর ৬৫০ মিটার অংশে পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং কাজ ধীর গতিতে এগিয়ে চলেছে। অবশিষ্ট অংশে পিলারের পাইলিংয়ের কাজ চলছে। তবে কাজের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। রোজ পূর্ব-পশ্চিম অংশে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ব্যারাকপুর সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, “ট্র্যাফিকের আরও ভাল প্রবাহের জন্য, বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একটি দুই লেনের সার্ভিস রোড তৈরি করা হচ্ছে যাতে সেতুটি জনসাধারণের অসুবিধা কম করতে পারে।”
কবে শেষ হবে কাজ?
বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে এবং কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে সংযুক্ত করে ৬-লেনের এলিভেটেড সংযোগকারীর সম্প্রসারণ প্রকল্পটি কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েকে নিমতা থেকে মুরাগাছা (৪.৬ কিমি) পর্যন্ত ৬ লেনে প্রসারিত করে। সম্প্রসারণ প্রকল্পে মোট ১৯টি সেতুর পরিকল্পনা রয়েছে, যার মধ্যে ১২টির কাজ শেষ হয়েছে। থাকবে একাধিক আন্ডারপাসও। প্রকল্পটির কাজ ২০১৯ সালের জুনে শুরু হয় এবং নির্ধারিত সমাপ্তির সময়সীমা ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর। তবে কাজ শেষ করার সময়সীমা পূরণ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।