শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) মুকুটে একের পর এক পালক জুড়েই চলেছে। বর্তমান সময়ে কলকাতা শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম সাধারণ মানুষের আর অসুবিধাই হয় না। কারণ সকলের সেই সমস্যার সমাধান করেছে কলকাতা মেট্রো। কিন্তু আবার এই কলকাতা মেট্রোর পথেই একাধিক জিনিস বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম হল কর্মীর অভাব।
কলকাতা মেট্রোর পথে বড় বাধা
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরে অর্থাৎ ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যেই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত নোয়াপাড়া টু কলকাতা বিমানবন্দর অবধি মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে একটা জিনিস সকলে মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর সেটা হল কর্মীর অভাব। একদিকে যখন কলকাতা মেট্রো একের পর এক রুট সম্প্রসারিত করছে সেখানে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে কর্মীর সংখ্যা এক প্রকার নেই বললেই চলে। মাত্র দুই থেকে তিনজন কর্মীকে নিয়ে কলকাতা মেট্রোর এক একটি স্টেশন চলছে।
এহেন অবস্থায় মেট্রো পরিষেবা একপ্রকার ভেঙে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকে এও মনে করছে যে এরকম ভাবে চলতে থাকলে তাহলে কলকাতা মেট্রোও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটবে।
কর্মীর অভাব
কলকাতা মেট্রো রেল সূত্রে খবর, জোকা-মাঝেরহাট এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ মিলিয়ে গোটা পাঁচেক স্টেশনে বুকিং কাউন্টার সম্পূর্ণ তুলে দিয়েছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গোটাটাই হচ্ছে কর্মীর অভাবে। এদিকে যত সময় এগোচ্ছে ততই মেট্রোও বেসরকারিকরণের পথে হাঁটবে বলে মনে হচ্ছে। গত অক্টোবরে মেট্রোর স্বীকৃত কর্মী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা বেসরকারি হাতে দেওয়ার বার্তা দিয়ে রেখেছেন কর্তৃপক্ষ। যার অঙ্গ হিসাবে মেট্রোয় চালকের পরিবর্তে ট্রেন অপারেটর কাম স্টেশন কন্ট্রোলার নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই তৎপরতার পরেই বেসরকারিকরণ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে কর্মী মহলে। ফলে আগামী দিনে কী হয় সেদিকে নজর থাকবে সকলের।