ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ কলকাতার বিখ্যাত আর জি কর হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডে উত্তাল হয়ে রয়েছে সমগ্র বাংলা। শুধুমাত্র বাংলা বললে ভুল হবে এই ঘটনার আঁচ পড়েছে সমগ্র দেশে। ইতিমধ্যে বহু মেডিকেল কলেজের কর্মরত চিকিৎসকরা কর্মবিরতি ডাক দিয়েছেন। শুধুমাত্র তাই নয় আজ ১২ ই আগস্ট গোটা দেশজুড়ে চিকিৎসকরা আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। এরই মাঝে এই ঘটনায় এবার বড়সড় তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এল যা শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন। তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ এমন একটি অডিও প্রকাশ্যে এনেছেন যার পরে সর্বত্রই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই অডিও সত্যতা যাচাই করেনি Indiahood.in।
আর জি কর কাণ্ডে নতুন তথ্য
ইতিমধ্যে চিকিৎসক খুনের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির মতো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু তাই নয় এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তি রাজ্য সরকারের কোনরকম আপত্তি নেই বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি! অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন। এদিকে কুণাল ঘোষের তরফে একসাথে হ্যান্ডেলে ও ইউটিউব চ্যানেলে একটি অডিও শেয়ার করা হয়েছে, যার পরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কুণালকে বলতে শোনা যায় , ‘আরজি কর কাণ্ড – তাতে পুলিশ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে একজনকে গ্রেফতার করেছে। তদন্ত এগোচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট কড়া পদক্ষেপ করেছেন। বলেও দিয়েছেন যে দরকার হলে অন্য এজেন্সি তদন্ত করুক। ফাঁসি চাই দোষীদের। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যবস্থা নিয়েছেন। তদন্ত ঠিকঠাক এগোচ্ছে। এর মধ্যে অন্য দু’একটি সূত্র থেকে কিছু তথ্য আসছে। একটি টেলিফোন কল – ভয়েস রেকর্ডিং পেয়েছি। তাতেও কিছু আলোচনা এদিক-ওদিক হচ্ছে।’
কুণাল আরও বলেন, ‘সেখানে কিছু প্রবল ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য আছে। এখন সেগুলির আদৌও কোনও ভিত্তি আছে নাকি ভিত্তি নেই, সত্যতা জানা সম্ভব নয়। আমার পক্ষে এখনই আলাদাভাবে সম্ভব নয়। ফলে তদন্তকারীদের কাছে অনুরোধ, তাঁরা নিশ্চয়ই এগুলো হাতে পাচ্ছেন, তদন্তের এই দিকগুলোও নিশ্চিতভাবে খতিয়ে দেখা হোক। যদি অন্য কোনও কারও যোগসূত্রের কোনও নমুনা দেখা যায়, তাহলে সেটা অবশ্যই তদন্তের মধ্যে থাকুক। তদন্তকারীদের উপরে আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’ এরপরেই দু পক্ষের অডিও ভয়েস শোনা যায়।
RGKar case.
পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত করছে, ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার একজন।
মুখ্যমন্ত্রী যথাযথভাবে কড়া অবস্থান নিয়েছেন। অভিষেকও কঠোর।তদন্তকারীদের কাছে অনুরোধ, একটি ফোন ভয়েস রেকর্ডিং-এ ইঙ্গিতপূর্ণ কথা শোনা যাচ্ছে। কারা জড়িত, স্পষ্ট ইঙ্গিত। সত্যাসত্য জানি না। অনুসন্ধান জরুরি।
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) August 11, 2024
আরজি করের ভাইরাল অডিও
যে ভয়েসটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে প্রথমজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘কী হয়েছে একটু বল তো আরজিকের ব্যাপারটা?’ এরপর দ্বিতীয় জন পাল্টা বলছেন, ‘আরজি করের গোটা মুভমেন্টের পুরোটাই মেকি। ওটা প্রিন্সিপালই চালাচ্ছে। আর প্রিন্সিপালের যারা শাগরেদ, তারাই চালাচ্ছে। আমাদেরকে ইয়ে করছে ….। মুভমেন্টের যে আলাদা কোনও ফেস হবে, অথরিটি যে কোনও স্টেপ নিচ্ছে না বা এরকম আজেবাজে কমেন্ট করছে, সেটার বিরুদ্ধে কিন্তু কিছু নেই। ঠিক আছে।
আমাদের উপর নির্ভর করে বাইরের লোক এত কিছু করছে। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমরা নিজেরাই সাসটেনেবল নই। কারণ অধিকারের দাবিতে আন্দোলনকে দমন করার ইতিহাস আছে আরজি কর হাসপাতালের। তোমরাও জানো দাদা। এখানে কালকে একটা ভিডিয়ো এসেছিল যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে অ্যারেস্ট করেছে। ওকে বলির পাঁঠা করা হয়েছে। সেটা সঙ্গে-সঙ্গে আমরা তুলে ধরেছি। কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল যে তাতে আমরা আন্দোলনের বিষয়টা ভুলে যাব। কিন্তু ওরা জানে না যে সেটুকু তো বুদ্ধি আছে যে মানুষ বুঝতে পারবে, ওটা ওর পক্ষে করা সম্ভব কিনা। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দিদির যেরকম ইনজুরি আছে, তাতে একজনের কাজ তো নয় দাদা। দু’জন বা তিনজন কাজটা করেছে।
ফের প্রথমজনকে বলতে শোনা যায়, কারা হতে পারে? তোরা আরজি করের ছেলেরা কী সন্দেহ করছিস?
দ্বিতীয় কণ্ঠস্বরটিকে বলতে শোনা যায়, আমরা সাসপেক্ট করছি যে এটা ইন্টার্নের কাজ। ঠিক আছে দাদা। যে ইন্টার্নের যথেষ্ট পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। পরিবারের সদস্যরাও যথেষ্ট উচ্চপদস্থ। নাম নিতে পারব না। কারণ আমারই সমস্যা হয়ে যাবে।
প্রথম কণ্ঠস্বরটি ফের বলে, না, নাম নিতে হবে না। একদম নাম নিতে হবে না। এরপর অপরজনকে বলতে শোনা যায়, তাকে প্রোটেকশন দেওয়ার জন্যই….। খারাপ লাগছে ভাবতে যে আমরা ব্যাচমেটই এরকম করতে পারে। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ এতটা নির্লজ্জ যে তাকে সেফগার্ড (রক্ষা) করার জন্য এতগুলো গেমস খেলা হচ্ছে। গোটা মুভমেন্টটা আমাদের কলেজ কর্তৃপক্ষ চালাচ্ছে।
যদিও এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি Indiahood.in বা কলকাতা পুলিশ।