সহেলি মিত্র, কলকাতা: দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপ্রকল্পের (Tarkeshwar Bishnupur Rail Project) কাজ। সেইদিন আর হয়তো বিশেষ দূরে নয় যখন হাওড়া থেকে এক ট্রেনেই যাত্রীরা বিষ্ণুপুর, তারকেশ্বর, জয়রামবাটি, কামারপুকুর একসঙ্গে যেতে সক্ষম। হবেন। রেল যাত্রী থেকে স্থানীয় মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে এই রেল রুটে ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরপর অবশেষে সকলের সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে কাজ শুরু করেছে রেল। তবে এই রেল প্রকল্পের কাজ নাকি স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই ধির গতিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। ফলে এবার উঠল নতুন দাবি। আপনিও কি জানতে ইচ্ছুক সেই দাবি কী? তাহলে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপ্রকল্প নিয়ে বিরাট আপডেট
রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থানগুলির মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৮২.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পটি ২০১৭ সাল থেকে হুগলির গোঘাট এলাকার ভাবা দিঘিতে স্থানীয় বিরোধিতার কারণে স্থগিত রয়েছে।এখনও পর্যন্ত, ৭২.০৭ কিলোমিটার – প্রকল্পের প্রায় ৮৭ শতাংশ – সম্পন্ন এবং চালু করা হয়েছে। বিষ্ণুপুর এবং জয়রামবাটির মধ্যে ট্রেন পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। কামারপুকুর স্টেশনেও নির্মাণ কাজ পুরোদমে চলছে, ট্র্যাক স্থাপন, স্টেশন শেড, আলো, জলের লাইন এবং একটি ওভারব্রিজ প্রায় সম্পূর্ণ। গোঘাট এবং জয়রামবাটির মধ্যে বাকি ১০.৪৩ কিলোমিটার অংশ চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এরই মাঝে নতুন দাবি নিয়ে হাজির হল ‘কামারপুকুর রেল চাই পক্ষ’।
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপ্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে হাইকোর্টের নির্দেশমতো দ্রুত বৈঠকের দাবি তুলেছে রেল চাই পক্ষ। সেই মতো সোমবার ‘কামারপুকুর রেল চাই পক্ষের’ তরফে কয়েকজন প্রতিনিধি গোঘাট-২ বিডিওর কাছে গণস্বাক্ষর করা আবেদনপত্র জমা দেন।
রেল প্রকল্পের কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা হয় তার জন্য নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। সংগঠনের তরফে রাকেশ মালিক, মানস মল্লিক বলেন, মাস দেড়েক আগে হাইকোর্ট এই রেল প্রকল্প নিয়ে পর্যবেক্ষণ দেয়। কাজে জটিলতা মেটাতে রাজ্যকে রেলের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশও দেন প্রধান বিচারপতি। তিন মাসের মধ্যে কাজ শেষের নির্দেশও ছিল। যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৈঠক হয়ে কাজ শুরু হয় তার দাবি জানিয়ে এদিন বিডিওকে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুনঃ সমুদ্রে তলিয়ে যাবে ভারতের সবথেকে সুন্দর দ্বীপ! বিপদ মালদ্বীপেরও! হাড় কাঁপানো রিপোর্ট
বারবার বাধার মুখে পড়ছে রেল
ভাবদিঘি জলাশয়ের অংশ অতিক্রমকারী ৯০০ মিটার অংশের উপর স্থানীয়দের প্রতিরোধের কারণে অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। রেল কর্তাদের মতে, বিতর্কিত এলাকাটি জলাশয়ের মোট ১৭.৫ একর জমির মধ্যে তিন একর, যা ইতিমধ্যে রেলওয়ে অধিগ্রহণ করেছে। তারা আরও জানানো যে বিভিন্ন কারণের ভিত্তিতে সারিবদ্ধকরণ নির্বাচন করা হয়েছিল এবং এটি পরিবর্তন করা যাবে না। মার্চ মাসে, কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য সরকার এবং পূর্ব রেলওয়ে উভয়কেই বিষয়টি সমাধান করে তিন মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দেয়। যাইহোক আদালত হুগলির পুলিশ সুপার এবং রাজ্য কর্তৃপক্ষকে মুলতুবি কাজটি সহজতর করার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা সহ প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে।