শ্বেতা মিত্র, হাওড়াঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই হাওড়া ডিভিশনে যাত্রী থেকে শুরু করে ট্রেনের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এদিকে এই বৃহৎ পরিমাণে রেল নেটওয়ার্কের পরিচালনা করা কিন্তু মোটেও মুখের কাজ নয়। এই কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে হিমশিম খাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরী হয়ে যাচ্ছে পূর্ব রেলওয়ের কাছে। তারপরও যাত্রী পরিষেবা যাতে স্বাভাবিক রাখা যায় তার জন্য নিরন্তর কাজ করেই চলেছে পূর্ব রেল। তবে এবার এই হাওড়া ডিভিশনে পূর্ব রেলের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যারা উপকৃত হবেন সাধারণ রেল যাত্রীরা। আগামী দিনে যাত্রা পথ হবে আরও মসৃণ। আজ কথা হবেশি হাওড়া ইয়র্ড নিয়ে।
বড় উদ্যোগ পূর্ব রেলের
এমনিতে হাওড়া ডিভিশনে রেল পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ নেই। মাঝে কিছুটা সময় ইন্টারলকিং কাজের জেরে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল করা থেকে শুরু করে বহু ট্রেনের রুট বদল করেছে পূর্ব রেল। এখনো যেটা হচ্ছে না তা নয়। যদিও রেলের বক্তব্য, যাত্রী পরিষেবা যাতে আরো স্বাভাবিক রাখা যায় এবং আগামী দিনে ট্রেন চলাচলে কোনওরকম সমস্যা না হয় তার জন্য বিভিন্ন রকম উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রেলের তরফে এবার হাওড়া ইয়ার্ড নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
অনেকেই হয়তো জানেন না যে এইটা ইয়র্ডে ২৫টিরও বেশি লাইন, ১০৮টি পয়েন্ট ও ক্রসিং এবং ১৭টি ডায়মন্ড ক্রসিং রয়েছে। যেগুলির ওপর দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ট্রেন ছুটে চলেছে। তবে এই ইয়ার্ডে বেশ কিছু সমস্যা নজরে আসে পূর্ব রেলের। আর সেগুলি যত দ্রুত সম্ভব ঠিকঠাক করা যায় তা নিয়ে কাজ করছিল পূর্ব রেল। যেগুলি দক্ষতার সঙ্গে সমাধান করেছে পূর্ব রেল।
নজির গড়ল পূর্ব রেল
জানলে আকাশ থেকে পড়বেন, ট্রেন চলাচলে কোনওরকমে বিঘ্ন না ঘটিয়েই সমস্যা সমাধান করেছেন পূর্ব রেলের ইঞ্জিনিয়াররা। সম্প্রতি হাওড়া ইয়ার্ডে একটি বিশেষ সমীক্ষা চালানো হয়। আরে সমীক্ষা চলাকালে বেশ কিছু ত্রুটি রেল কর্মীদের নজরে আসে। জানা গিয়েছে, হাওড়া ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাহায্যে পয়েন্ট ও ক্রসিং-এর ট্যাম্পিং (ব্যালাস্ট প্যাকিং) করে ট্র্যাকের গুণমান উন্নত করার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া এই কাজটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাথে সিগন্যাল ও টেলিকম এবং অপারেটিং বিভাগের বহু কর্মীদের একত্রিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে মাত্র ৯১ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়।
ব্যস্ত ইয়ার্ড, ট্র্যাকের নীচে সিগন্যাল ও টেলিকমের কেবলগুলির জট, উচ্চ ট্রেন চলাচলের কারণে রক্ষণাবেক্ষণ সমস্যার সৃষ্টি হওয়া সহ আরও অনেক কিছু বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল বটে, তবে সবটাই শেষ করতে সক্ষম হয়েছে রেল। রেলের লক্ষ্য, হাওড়া স্টেশনে ট্রেন ঢোকা ও বেড়ানোর সময় যাতে আরো দ্রুত হয় সেজন্য এই কাজ করা হয়।