প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছর পড়তেই একের পর এক নয়া চমক দেখা যাচ্ছে দেশ জুড়ে। আর এই আবহে দেখা গেল সমুদ্র ছেড়ে এবার নদীতে বিচরণ করছে নীল তিমি (Blue whale)। যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ সকলের। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে বেশ চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে।
ঘটনাটি কী?
জানা গিয়েছে গত বুধবার ঘোড়ামারা দ্বীপের মুড়িগঙ্গা নদীর তটে ভাটা শুরু হতেই এক বিশাল আকৃতির তিমি মাছ লক্ষ্য করে মৎস্যজীবীরা। প্রথম দিকে অন্য কোনও জন্তু ভেবেছিলেন তার। কিন্তু কাছে যেতেই বোঝা যায় যে সেটি আসলে এক প্রকাণ্ড তিমি মাছ। এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তেই ভরসন্ধ্যায় নদীর তোতে জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। জানা গিয়েছে প্রথমে এই তিমিকে সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের চরে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কাছে যেতেই অনেকে ভয় পাচ্ছিল।
মৎসজীবীদের মনে বিপদের আশঙ্কা
শেষে এই নীল তিমির মাছটিকে বাঁচানোর জন্য প্রায় ১৫ জনের একটা দল এই ২০ ফুটের তিমিটিকে কোনো রকমে গড়িয়ে গড়িয়ে নদীর দিকে নিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে গায়ে জল লাগতেই তিমিটি আবার নদীতে চলে যায়। এর আগে, নদীতে অনেক বিশালাকার মাছের দেখা মিলেছিল, কিন্তু তিমি মাছের মত বিশাল আকৃতির মাছ এই প্রথম দেখা গেল এই নদীতে। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ইতিমধ্যেই জোর চর্চা চলছে। মৎসজীবীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে আতঙ্কের আবহ। কারণ এই বড় মাছ যদি নদীর সমস্ত মাছ খেয়ে ফেলে তাহলে অনেক বড় বিপদ ডেকে আনবে। গ্রামবাসীদের ধারণা যেহেতু পাশেই বঙ্গোপসাগর, তাই সেখান থেকেই কোনওভাবে পথ হারিয়ে তিমিটি নদীতে এসে যায়।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ সাগর এই বিশাল তিমি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “এর আগে এখানে এত বড় মাছ কোনোদিন দেখা যায়নি। তাই এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই সারি সারি লোক ছুটে আসে সেই মাছ দেখার জন্য। প্রথমে এই নীল তিমি দক্ষিণ পশ্চিম চড়ে দেখা গিয়েছিল। তখনও সেই মাছের দেহে প্রাণ ছিল। যদিও এলাকার লোকজনদের উদ্যোগে মাছটাকে পুনরায় পাল্টি খাইয়ে খাইয়ে জলের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। আর জল পেতেই মাছটিও নিজের ছন্দে চলে যায়।”