প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর দ্বৈরথ যেন কিছুতেই থামছে না। একের পর এক বিতর্কের প্রসঙ্গ উঠে আসছে এই জটিলতায়। পরিস্থিতি এতটাই জটিল পর্যায়ে পৌঁছয় যে বিষয়টি নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। যার ফলে রাজ্যপালকেই পিছু হঠতে হয়। সুপ্রিম কোর্টের গঠিত সার্চ কমিটির মাধ্যমেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হয়েছে। আর এই আবহে ফের শিক্ষানীতি নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হল। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষোভ উগরে দিলেন।
কেন্দ্রের উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাজ্য বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে পেশ হয়েছিল নতুন শিক্ষানীতি। এদিন বিধানসভায় কেন্দ্রীয় নীতির পাল্টা রেজোলিউশন নিয়ে আসা হয় ৷ সেই সময় ব্রাত্য বসু কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলে যে উচ্চশিক্ষার নীতিতে পরিবর্তন আনার নাম করে কেন্দ্র উপাচার্য নিয়োগের সমস্ত ক্ষমতা রাজ্যের হাত থেকে কেড়ে নিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন যে, “ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি খুঁজে বের করা, বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ, অধ্যাপক, অশিক্ষক কর্মচারীদের বেতন, ছাত্রদের পড়ার খরচ, নানা পরিষেবা সব দেবে রাজ্য সরকার আর অন্যদিকে উপাচার্য ঠিক করবে কেন্দ্র। এটা কেমন ধরনের গৈরিকীকরণ! তাই কেন্দ্রের সার্চ কমিটির বিরুদ্ধে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে আসা হয়েছে।’
কেন্দ্রের নিয়ম মানতে নারাজ অন্যান্য রাজ্যও
রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এতদিন উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে পাঁচ জনের একটি সার্চ কমিটি ছিল। যেখানে রাজ্যপালের একজনের প্রতিনিধি, মুখ্যমন্ত্রীর একজন প্রতিনিধি, রাজ্যের শিক্ষা সংসদ, UGC এবং বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের একজন করে সদস্য থাকতেন। এই পাঁচজনের কমিটি মিলিয়ে উপাচার্য নিয়োগ হত। কিন্তু এবার এই পাঁচজন সদস্য কমাতে চায় কেন্দ্র। তিনজনে নামিয়ে আনতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা মানতে নারাজ রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তামিলনাড়ু, কেরল, কর্নাটক, পঞ্জাব–সহ বেশ কিছু রাজ্য এই নিয়ম মানতে চাইছে না। তাই এই বিষয়ে গতকাল বিধানসভায় মুখ খুললেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন ব্রাত্য বসু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করেন ৷ তিনি বলেন, “রাজভবনে বসে বেহালা বাজানো বন্ধ করুন ৷ আপনি নিরোর মতো আচরণ করছেন ৷ আর এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্যহীন অবস্থায় ভুগছে ৷ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা করা হচ্ছে ৷ এসব চলতে পারে না।” তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “জাতীয় শিক্ষানীতির কিছু অংশ রাজ্যের শিক্ষানীতিতেও আছে। কিন্তু উপাচার্য নিয়োগ করার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আদেশ, নির্দেশ মানতে নারাজ রাজ্য সরকার। ওরা এভাবে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করতে চাইছে। তারই প্রতিবাদে তাই স্পিকারের অনুমতি নিয়ে নতুন শিক্ষানীতি পেশ করেছিলাম। সেটা পাশও হয়ে গিয়েছে।’
Vice-Chancellor Recruitment, Vice-Chancellor, Recruitment, Bratya Basu, Government Of West Bengal, Central Government, State, Government, West Bengal,
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |