শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ বাংলাদেশে অশান্তির মাঝে এবার ভারত সীমান্তে বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হল। এমনিতে নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমান সময় বাংলাদেশের অশান্তির কালো ছায়া বিরাজ করছে। এদিকে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক রীতিমতো অবনতির দিকে এগোচ্ছে। বাংলাদেশ হিন্দুরা বিপন্ন, চলছে অবাধে লুঠতরাজ, এই অভিযোগ উঠছে। বারবার ফলে সেখানটা বহু হিন্দু প্রাণ বাঁচাতে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এসেও হাজির হচ্ছেন। আবার এই ঘটনার মাঝে অনেকেই আবার সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ভারতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। ফলে এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হলো। বিশেষ করে নদীয়ার সীমান্তে আরো অনেক বিএসএফকে মোতাযয়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আরো বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির উপর।
সীমান্তে বাড়ল নিরাপত্তা
যত সময় গেছে বাংলাদেশের হিংসার পরিমাণ ততই বেড়ে চলেছে এদিকে সেখানে হিন্দুদের অবস্থাও খারাপের পর্যায়ে করছে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনকি মন্দিরেও হামলা চালানো হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দু দেব দেবীদের মূর্তি। এহেন অবস্থায় সকলেই ভারতে চলে আসতে চাইছেন। আবার গোয়েন্দারা গোপন সূত্র জানতে পেরেছেন যে হতে পারে একের পর এক অনুপ্রবেশও। ফলে এই পরিস্থিতে বিএসএফের একাধিক ব্যাটেলিয়ান কে নদীয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
অনুপ্রবেশের আশঙ্কা!
জানা গিয়েছে, কোনওরকম দেরি না করে রবিবার থেকেই নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। বিএসএফ সূত্রে খবর, করিমপুর থেকে গেদে পর্যন্ত ১৬২ কিমি সীমান্ত রয়েছে। চাপড়া, হৃদয়পুর, গেদে, করিমপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা অরক্ষিত। স্বাধীনতার পর থেকে এত বছর হয়ে গেলেও কাঁটাতারের বেড়া নেই। কোথাও শুধুমাত্র বাঁশের সাহায্যে সীমান্তে দুই বাংলা ভাগ হয়ে রয়েছে। আবার অনেক জায়গাতে তাও নেই। ফলে আপত্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে সব বিষয়কে সামনে রেখেই জওয়ানদের সংখ্যা বাড়ানো হল।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো বাংলাদেশে অস্থিরতার কারণে এই সেনা মোতায়েনের কারণ হয়ে থাকতে পারে। শুধুমাত্র নদীয়াই নয়, মুর্শিদাবাদে সীমান্তবর্তী এলাকাতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ১৯৮ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের তিন কোম্পানি বাহিনী নদিয়ার সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে থাকে। আরও বিপুল সংখ্যায় জওয়ান বাড়ানো হয়েছে।