পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ যতদিন যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ততই তলানিতে ঠেকছে। তবে এরই মাঝে দেশের নাগরিকদের জন্য খুশির খবর মিলেছে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে ভারতের কিছু জমি দখল করে চাষাবাদ করে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশিরা। এবার বিএসএফ (Border Security Force) এর সাহায্য সেই জমি ফেরত পাওয়া গেল। স্বাভাবিকভাবেই জমি ফেরত পেয়ে খুশিতে ধন্য ধন্য করছেন সেই সমস্ত কৃষকেরা।
ভারতের জমি দখল করে চাষ বাংলাদেশিদের
যেমনটা জানা যাচ্ছে, জলপাইগুড়ি জেলার মালকানির বাসিন্দা নিরঞ্জন সরকার ও আনন্দ সরকারের সাকাতি ঝাকুয়াপাড়াতে ৩ বিঘা জমিও ছিল। সেই জমিতে ২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার প্রধানপাড়ার লোকেরা দখল নিয়েছিল। সমস্যার কোনো সমাধান না হওয়ায় শেষমেশ রাধাবাড়ি সেক্টরের ৯৩ ব্যাটেলিয়ান BSF-র দারস্ত হন নিরঞ্জনবাবু।
বিএসএফ এর তৎপরতায় উদ্ধার হল জমি
অভিযোগ পাওয়ার পর বিএসএফ এর তরফ থেকেই বাংলাদেশের সরকারকে একটি প্রোটেস্ট নোট পাঠান হয়। এরপর সবটা খতিয়ে দেখার জন্য বিওপি কোম্পানির কমান্ডারকে আদেশ দেওয়া হয়। অভিযোগ সত্যি জানার পর ৫৬ ব্যাটেলিয়ান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কমান্ডিং অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হয় বিএসএফ এর তরফ থেকে। পরবর্তীতে দুই দেশের তরফ থেকেই সমীক্ষা চালানো হয় জমির মালিকানা নির্ধারণের স্বার্থে। শেষেমেষ ২৪শে নভেম্বর সমীক্ষার রিপোর্ট আসতে বাংলাদেশিদের দখলে চলে যাওয়া জমি ফেরত পান ভারতীয় মালিক নিরঞ্জন সরকার।
জমি ফেরত পেয়ে খুশি জলপাইগুড়ির কৃষক
দীর্ঘদিন যাবৎ দখল হয়ে যাওয়া জমি ফেরত পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ খুশি নিরঞ্জনবাবু ও তার ছেলে আনন্দ সরকার। তাদের মতে, ‘২০১৫ সাল থেকেই আমাদের সাড়ে তিন বিঘা জমি বাংলাদেশিদের দখলে চলে যায়। কোনোভাবেই জমি উদ্ধার করা যাচ্ছিল না, ভেবেছিলাম জমিটা আর ফেরত পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশিরা জমিতে আলু চাষ করেছিল। এরপর বিএসএফ এর ৯৩ ব্যাটালিয়ানের আধিকারিক মনোজ কুমারকে সমস্তটা জানালে তারাই সহযোগিতা করেন। ওনাদের সাহায্য না পেলে জমি ফেরত পেতাম না।’