বাজি ফাটানোয় বাচ্চা সহ মহিলাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে

Published:

Cooch Behar
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: কেটেছে আলোর উৎসব দীপাবলি। উৎসবের আগেই বাজি পোড়ানো নিয়ে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে জানা যাচ্ছে, এবার বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে পাড়ার মহিলা আর বাচ্চাদেরকে বেধড়ক পিটিয়েছে পুলিশ সুপার। এমনকি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালীপুজোর রাতে তুমুল শোরগোল বাধে কোচবিহার (Cooch Behar) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রেলঘুমটি এলাকায়।

ঘটনাটি কী?

আহত এক আইনজীবী মল্লিকা কার্জি অভিযোগ করছেন, সোমবার রাত বারোটা নাগাদ বাড়ির ছোটরা রাস্তায় বাজি ফাঠাচ্ছিল। তবে এ সময় পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য হঠাৎ করে বেড়িয়ে এসে লাঠি দিয়ে বাচ্চাদের উপর চড়াও হয়। এমনকি হইচই শুনে তিনি বাচ্চাদের বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও বাদ দেওয়া হয়নি। লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। হাতে তিনি গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। আর বাচ্চাদের কারও কারও পায়ে আঘাত লেগেছে, হাঁটতেও পারছে না। এই ঘটনাই শিশুসহ মোট সাতজনের আঘাত লেগেছে।

তবে অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন, রাত বারোটার পর থেকেই বাজি পোড়ানো শুরু হয়। ক্রমাগত তারা বাজি ফাটাচ্ছিল। বারবার বারণ করা হলেও কোনওরকম কান দেয়নি। আমি বারবার গার্ডকে পাঠিয়ে ওদের বাজি ফাটানো বন্ধ করার জন্য বলছিলাম। তবে ওরা কিছুতেই শোনেনি। বাজির আওয়াজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলাম আমি আর আমার স্ত্রী। এমনকি আমার পোষা কুকুরও ভয় পাচ্ছিল। তাই আমি নিজেই ওদের বারণ করতে গিয়েছিলাম। কারোর গায়ে হাত দিইনি।

আরও পড়ুনঃ নজরে বাংলার উন্নয়ন, ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন

এদিকে মল্লিকার স্বামী পার্থ রায় বলেছেন, বাচ্চারা এমনিতেই দল বেধে কালীপুজোর রাতে বাজি পোড়ায়। আগেও এই পাড়ার বাসিন্দা অনেক এসপি ছিলেন। তবে কেউ কখনও ছোটদের সঙ্গে এমন আচরণ করেনি এবং গায়ে হাত তোলেনি। তবে এই এসপি তার বাড়ির কুকুরের বাজিতে অসুবিধা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মহিলা সহ বাচ্চাদেরকে পিটিয়েছে। এমন ঘটনা এখানে প্রথম। এই ঘটনার বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন বলেও জানিয়েছেন তারা। আর হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে শিশুর অভিভাবকের পক্ষ থেকে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join