কলকাতাঃ লোকসভা ভোটের মাঝে এবার চরম পদক্ষেপ নিল কলকাতা হাইকোর্ট। কেউ হয়তো ভাবতেও পারেননি যে এমনটা ঘটতে পারে। এতদিন যেখানে প্রায় ২৬,০০০ শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মীর চাকরি বাতিলের ঘটনা ঘিরে বাংলা সরগম ছিল, এবার ২০১০ সালের পরের ওবিসি তালিকা বাতিল করে দিল কোর্ট।
৫ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র বাতিল
আজ বুধবার আদালতের এই রায়ের জেরে প্রায় ৫ লক্ষ OBC শংসাপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে খবর। অর্থাৎ ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সাল অবধি জারি হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দেওয়া হল। ভোটের মুখে এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমগ্র বাংলা তপ্ত হয়ে উঠেছে। ২০১০ সালের আগের নথিভুক্ত ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা বাতিল করে দিয়েছে বিচারপতির বেঞ্চ। আজ এই রায় ঘোষণা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
১৪ বছর পর রায় ঘোষণা
দীর্ঘ ১৪ বছর পর আজ বুধবার দুপুরে ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় রায়দান করে আদালত। আর রায় দান করার পরেই সকলে চমকে গিয়েছে। এদিকে স্বাভাবিকভাবেই হাইকোর্টের রায়ের জেরে মাথায় বজ্রাঘাত হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেটধারীদের। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই সার্টিফিকেট বাতিলের প্রভাব কি চাকরিতে পড়বে? জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালের আগের নথিভুক্ত OBC সংরক্ষণ তালিকা বহাল থাকবে। অর্থাৎ বৈধ। এতদিন ওবিসি সংরক্ষণ তালিকা পাওয়া চাকরি বহাল রয়েছে। এদিকে হাইকোর্টের রায়ের পর এবার থেকে যারা সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করবেন তাঁরা আর ওবিসি শংসাপত্র দেখাতে পারবেন না নথি হিসেবে। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এবং বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ এই রায় দিয়েছেন।
কী বলছে হাইকোর্ট?
আজ কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘এর পর কারা ওবিসি হবেন সেটা রাজ্যের আইনসভা তথা বিধানসভাকে নির্ধারণ করতে হবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার কমিশনকে ওবিসিদের তালিকা ঠিক করতে হবে। এরপর সেই তালিকা রাজ্যের আইনসভা কিংবা বিধানসভাকে পাঠাতে হবে। বিধানসভার তরফ থেকে জাদের নাম অনুমোদন দেওয়া হবে, তাঁদেরকেই এরপর ওবিসি বলে গণ্য করা হবে।’