প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পিছিয়ে গেল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার (Primary Teacher Recruitment Case) শুনানি। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলাকালীন প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি শুরুর দিন ঘোষণা করা হল আগামী ৭ মে। জানা গিয়েছে এই মামলায় প্রথম সওয়াল করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ওই দিনই মামলার সব পক্ষকে কাগজপত্র আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর আজ বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর বেঞ্চ জানিয়ে দেয় যে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ বাতিল মানেই যে আইনজীবীরা দীর্ঘসারি বক্তব্য রেখে যাবেন, এতটা সময় দেবে না আদালত। ফলে যাঁদের একই বক্তব্য ও একই ইস্যু নিয়ে মামলা, সেখানে আইনজীবীদের একজনের নেতৃত্বে বক্তব্য জানাতে হবে।
৩২ হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত!
২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে প্রাথমিকে দু’টি নিয়োগ প্রক্রিয়া করা হয় পর্ষদ থেকে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। তার মধ্যে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এবং সেই কারণে হাই কোর্টে মামলা করেন প্রিয়াঙ্কা নস্কর-সহ প্রায় ১৪০ জন চাকরিপ্রার্থী। এরপর ২০২৩ সালের ১২ মে ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন হাই কোর্টের তৎকালীন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে ওই নিয়োগ প্রক্রিয়ার চাকরি বাতিল হয় ৩২ হাজার শিক্ষক। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে। সেখানে যোগ্য এবং উত্তীর্ণদের চাকরি বহাল থাকবে।
শুনানির দিন পিছনো হল
এরপর হাইকোর্টের ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য সরকার। গত ৭ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে দরে যান বিচারপতি সৌমেন সেন। তার পর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মামলাটি পাঠিয়েছেন বিচারপতি চক্রবর্তীর বেঞ্চে। শেষমেষ আজ অর্থাৎ সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু এদিনও শুনানির দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং আগামী ৭ মে প্রাথমিক মামলার সকল পক্ষকে সমস্ত কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত গত বছর এপ্রিলে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করার রায় দিয়েছিল হাই কোর্ট। পরে সুপ্রিম কোর্ট নেই নির্দেশ বহাল রেখেছে। চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৩৫ জনের। তা নিয়ে এখনও আন্দোলন চলছে। কিন্তু আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, চলতি বছরের মধ্যে নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে এসএসসিকে। তার উপর ফের প্রাথমিকের চাকরি বাতিলের মামলা শিরোনামে উঠে এল। তাই এবার প্রাথমিকের মামলাটির দিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |