ফের একবার বিশ বাঁও জলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাংলায় কারখানা গড়ার স্বপ্ন। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। বাংলায় সৌরভ আদৌ কারখানা তৈরী করতে পারবেন কিনা টা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ ফের মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় কারখানার জন্য বরাদ্দ জমিটি আইনি মারপ্যাঁচের মধ্যে ফেঁসে গেল।
বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের
জানা গিয়েছে, এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডে ফিল্ম সিটির জমি হস্তান্তরের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করলো কলকাতা হাইকোর্ট। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আর এই নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।পশ্চিম মেদিনীপুরে কারখানা খোলার জন্য প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে মাত্র ১ টাকায় ৩৫০ একর জমি রাজ্য সরকার দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, হলফনামায় রাজ্য সরকারকে ব্যাখ্যা করতে হবে যে টেন্ডার আরোপ সহ আইনি বিধান অনুসারে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জমি লিজে দেওয়া হয়েছিল কিনা। জমি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে, বেঞ্চ উল্লেখ করেছে যে জনসাধারণের বিশ্বাসের স্বার্থে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়াটি পর্যালোচনা করা দরকার।
সৌরভকে জমি দিয়েছিল সরকার
আসলে আসলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ফিল্ম সিটি তৈরির জন্য রাজ্য সরকার যে ৭৫২ একর জমি বরাদ্দ করেছিল, তা থেকে ৩৫০ একর জমি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছিল। এদিকে সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মামলা ঠুকেছে প্রয়াগ গ্ৰুপ। পিটিশনে উল্লেখিত করা হয়েছে যে প্রয়াগ গ্রুপকে না জানিয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রায়গ গ্রূপের দাবি, প্রস্তাবিত ফিল্ম সিটি প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ২,৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে গোষ্ঠী। এর আগে পশ্চিমবঙ্গে চিটফান্ড সংক্রান্ত মামলা খতিয়ে দেখার জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এসপি তালুকদারের নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় কমিটি গঠন করেছিল হাইকোর্ট। সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের ৭৫২ একর জমি-সহ প্রয়াগ গোষ্ঠীর বেশ কিছু সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে রাজ্য সরকার।
কোম্পানির আইনজীবী বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে পৌঁছানোর আগেই রাজ্য সরকার কীভাবে বাজেয়াপ্ত জমির একটি অংশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কারখানা স্থাপনের জন্য লিজ দিতে পারে। সর্বোপরি ৩৫০ একরের মধ্যে ১১.২৮ একর জমি তালুকদার কমিটির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই অবস্থায় ওই জমির কোনও রকম ব্যবহার বা বিক্রি করতে পারবে না রাজ্য। সেই সঙ্গে কেন ঐ জমির নিলাম বা কোনো ওপেন টেন্ডার না করে একজনকে বিক্রি করা হল, আদালত তার ব্যাখ্যা চেয়েছে রাজ্যের কাছে।এই নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফলে কিছু সময়ের মধ্যেই রাজ্য সরকারকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।