প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ১ মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে। গত মাসে এসএসসি- (SSC)র ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সবমিলিয়ে প্রায় ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী বেকারত্বের অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে রাতারাতি। তাই তো নিজেদের হকের চাকরি ফিরে পেতে আন্দোলনে নেমেছেন সকলে।
এদিকে গত ১৫ মে থেকে রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিকাশ ভবনের সামনের রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন চাকরিহারা শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের একাংশ। আর এই আবহেই এই আন্দোলনকে নিয়ে বিস্ফোরক সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা হাইকোর্ট।
চাকরিহারাদের উদ্দেশে বড় নির্দেশ
মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল ও সুদীপ কোনার। সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ শুক্রবার, সেই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের সিঙ্গল বেঞ্চে। আর সেই মামলার শুনানিতে চাকরিহারাদের উদ্দেশ্যে বড় নির্দেশ দিলেন বিচারপতি ঘোষ। আদালতের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে বিকাশ ভবন নয়, চাকরিহারাদের সেন্ট্রাল পার্কের সামনে কর্মসূচি পালন করতে হবে। পাশাপাশি পুলিশকে ‘ধীরে চলো’ নীতি পালনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
জমায়েতের সংখ্যা নির্ধারণ বিচারপতির
এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আদালতে উপস্থিত দুজন চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশে জানান, “আপনাদের কর্মসূচির ফলে সাধারণ মানুষের অসুবিধা হচ্ছে। আপনাদের জায়গা কে দিয়েছেন? নিজেরাই বা ওখানে বিনা অনুমতিতে কেন জটলা করছেন? আপনাদের কর্মসূচি নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। সাধারণ মানুষের জন্য আমাদের চিন্তা। ১৫-১৬ দিন করছেন তো। এবার সেন্ট্রাল পার্কে করুন।” এমনকি বিচারপতি কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের এক নির্দিষ্ট সংখ্যাও বেঁধে দিয়েছে। তিনি জানান, “একসঙ্গে ২০০ লোক নিয়ে কর্মসূচি করা যাবে। অদলবদল করে জমায়েত হবে। আন্দোলকারীদের ১০ জন প্রতিনিধির নাম পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে।”
আরও পড়ুন: বিপাকে মদন মিত্র সহ একাধিক অফিসার! রুল জারি কলকাতা হাইকোর্টের, কারণ কী?
তবে আদালতের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিতে পারেনি চাকরিহারাদের একাংশের। তাই চাকরিহারা শিক্ষকদের এক জন আদালতে বলেন, “৫০-১০০ জন নিয়ে আন্দোলন হয় না। ৪০০-৫০০ জন লোক লাগে।” তখনই এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এত লোক নিয়ে কর্মসূচি হলে অসুবিধা হবে। তখনই বিচারকের সামনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তখনই বিচারপতি ক্ষুব্ধ হয়ে জানান, “আপনারা ওখানে যা করছেন, আদালতে তা করবেন না। রাজ্যকেও মানবিক ভাবে বিষয়টি দেখতে হবে। কারও বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।”
রাজ্যকে শৌচালয় এবং জল বন্দোবস্তের নির্দেশ
এদিন চাকরিহারাদের উদ্দেশে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ জানান, “যোগ্য শিক্ষকদের কি চিহ্নিত করতে পেরেছেন? আপনারা শিক্ষক। আপনারা তো আবার পড়াতে যাবেন। এমন কিছু করবেন না যাতে আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। আমি জানি সবাইকে চেনা সম্ভব নয়। এত লোককে সবাই তো চিনবেন না। কে, কোথায় কী করবেন তার দায় আপনাদের উপর চলে যাবে। তাই পুলিশকে পুলিশের কাজ করতে দিন।” এছাড়াও আদালত এদিন রাজ্য সরকারকে খাওয়ার জল, শৌচালয় থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এবার দেখার পালা চাকরি হারারা আদালতের নির্দেশ কতটা পালন করে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |