শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: বিচারপতি অমৃতা সিনহা… কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন দাপুটে বিচারক। কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করে না তাঁর দাপুটে মনোভাব, একের পর এক রায় নিয়ে সর্বত্র আলোচনা হয়। এবারও সেটার ব্যতিক্রম ঘটল না। তবে এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা যা বললেন তা শুনে চমকে গেলেন সকলে। এমনিতে বিগত বেশ কিছুদিন ধরে কলকাতা শহর সহ বাংলার বেশ কিছু জায়গায় বহু বাড়ি হেলে পড়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এহেন ঘটনাকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন সামনে উঠে আসছে। উঠে আসছে বেআইনিভাবে নির্মাণের তথ্যও। এসবের মধ্যে দিয়েই এবার বেআইনি বাড়ি ভাঙতে আধা সেনা নামানোর হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।
আধা সেনা নামানোর হুঁশিয়ারি বিচারপতির
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে পুরসভার কর্মীদের। এদিন ট্যাংরার ক্রিস্টফার রোডে হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে যান কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। সেখানে গিয়ে ওই ভবনের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। সারাদিন নানারকম টালবাহানার পর, কাজ না করে ফিরে যেতে হয় কলকাতা পুরসভার কর্মীদের। আবার এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতি কাজ না হলে আধা সেনা মোতায়েনের হুঁশিয়ারি দেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর এহেন নির্দেশিকা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলেই।
ঘটনাটি কী?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ঘটনাটি ঠিক কী? তাহলে এর জন্য ফিরে তাকাতে হবে ২০২৩ সালে। ২০২৩ সালে বিধাননগরের শান্তিনগর এলাকায় একটি অবৈধ বহুতল ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু বছর ঘুরলেও সেই বাড়ি ভাঙা হয়নি। এর ফলে দায়ের হয় আদালত অবমাননার অভিযোগ। দু বছর পর সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘দরকারে বাড়ি ভাঙতে আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেব। কাজ কী করে করাতে হয় সে আমি ভালো করে জানি।
আরও পড়ুনঃ DA বৃদ্ধি থেকে নিয়োগ, রাজ্য বাজেটে কপাল খুলতে পারে প্যারাটিচার থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের
এই মামলার শুনানিতে পুরনিগমের তরফ থেকে আইনজীবী আগেই জানিয়েছিলেন ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে সবমিলিয়ে ৩৩০টি সন্দেহজনক নির্মাণের তথ্য রয়েছে। নির্মাতাদের কাছে বৈধ নথি চাওয়া হয়। কিন্তু সেই নথি না আয়ায় চাপানউতোর তৈরি করা হয়েছিল। তারই মধ্যে এবার কড়া অবস্থান নিল আদালত।